কারো হালকা প্রশংসায় গলে যাবেন না, প্রশংসাকারী থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবেন । ১.ভাবী, আপনি দুই বাচ্চার মা!আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না, দেখে মনে হয়, মাত্র মাধ্যমিক পাশ করছেন! সিরিয়াসলি! ২. ম্যাডাম,একটা কথা বলবো অনেকদিন থেকে ভাবছি!
কিন্তু বলবো বলবো করে বলা হচ্ছে না। আপনি এমনিতেই সুন্দর। কিন্তু, নাকের পাশের তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়ে দিয়েছে। এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে! ৩. মন খা’রাপ কেন ভাবী,ঝগড়া-টগড়া করলো নাকি?
আপনার মতো এ রকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না ৪. একটা কথা বলি আপু,কিছু মনে করবেন না তো? আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর!
কোনো প্রিয় গান বারবার শুনলেও যেমন বির’ক্তি লাগে না, আপনার কথা-বার্তাও স্টাইলও এরকম। টানা ২৪ ঘন্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না!
বিঃ দ্রঃ – অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কিছু কিছু মানুষ আছে, নিজের অফিসের কলিগ,পাশের বাসার ভাবী,কিংবা বন্ধুর বউ,পরিচিত আপু ম্যাডাম’দের সাথে এভাবেই কথা বলে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো “জাস্ট প্রশংসাবাক্য”।
এর গভীরে যে কত বড় লাম্পট্য, আর অসৎ কা’মনা লুকিয়ে আছে, খেয়াল না করলে বুঝার উপায় নেই। যারা এগুলো করে, এরা কিন্তু ফাঁ’দে ফেলবার জন্যেই করে!
এদের স্বভাবই হলো ফ্লার্ট করে নিজের বশে আনা! খুব স্মার্ট সু-দর্শন পু’রুষ দেখলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ম’হিলারাও এ রকম ফ্লার্ট করে। সে সংখ্যাটাও কম না! যে ম’হিলা জীবনে কোনোদিন স্বা’মীর বিকল্প স্বপ্নেও কল্পনাও করেন নি। মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়, কিন্তুু স্বা’মীকে অনেক ভালোবাসেন।
পর পু’রুষের মুখে নিজের এত্ত সুন্দর প্রশংসা শুনে, “আমি হলে পায়ের কাছে পড়ে থাকতাম” কথাটা শুনে সেই ম’হিলাও ভাবেন, এই স্বা’মী আমাকে বঞ্চিত করছে, নিশ্চয়ই আমি আরও ভালো কিছু আশা করি!
যে ম’হিলা একটা সু’খের সংসারে আছেন, বাচ্চা নিয়ে স্বা’মী স্ত্রী ব্যাস্ততার মাঝে কোনো কিছুর অভাবই বোধ করেন না, সে ম’হিলাও যখন বাইরের কারো কাছে নিজের কপালের তিলের এত্ত প্রশংসা শুনেন তখন তার মনে হতে পারে,“ওর সাথে এত্তদিন সংসার করলাম,