সম্ভ্রম বাঁচাতে চরফ্যাশন-ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি কর্ণফুলী-১৩ থেকে এক কি’শোরীর লাফ দেওয়ার ঘ’টনা ঘটেছে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় জে’লেরা তাকে উ’দ্ধার করে তজুম’দ্দিন থানায় হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গতকাল বিকালে ভোলার তজুম’দ্দিন উপজে’লার চৌমুহনী সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘ’টনা ঘটে।ভু’ক্তভোগী কি’শোরীর স’ঙ্গে দ্য ডেইলি স্টার’র বরিশাল প্রতিনিধির তজুম’দ্দিন উপজে’লা হেলথ কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয় মহিউদ্দিনের মাধ্যমে মোবাইলে ফোনে কথা হয়।
কি’শোরী জানায়, বাবা তাকে ছেড়ে যায়। মায়ের আরেক জায়গায় বিয়ে হয়। সে নানীর স’ঙ্গে থাকে। নানী ঠিকমত খাওয়াতে পারে না। সে কাজের উদ্দেশ্যে শনিবার বিকালে নোয়াখালী জে’লার তেলিয়ার চর ঘাট থেকে লঞ্চে ওঠে। ওঠার পরেই রান্নার বাবুর্চি ও সহকারী তাকে বির’ক্ত করে, কয়েকজন হাত ধরে টান দেয়।
‘রান্নার ছেলেরা আমাকে তাদের কেবিনে থাকতে বলে। তারা ৪০০ টাকা দেওয়ারও প্রস্তাব করে। আমি তাদের হাত থেকে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দেই। নদীতে স্রোতে আমি ভেসে যাচ্ছিলাম।
ঝাঁপ দেওয়ার কারণ হিসেবে সে বলে- লঞ্চের বাবুর্চি তাকে রাতে তার কেবিনে থাকার জন্য বললে সে ভ’য়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। লঞ্চ থেকে তার জন্য বয়া ছু’ড়ে মারলেও সে ধরতে পারেনি।
পরে লঞ্চ’টি ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায়। তিন ঘণ্টা পর স্থানীয় জে’লেরা তাকে উ’দ্ধার করে তজুম’দ্দিন উপজে’লা হেলথ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে পু’লিশ ত’দন্ত করছে। কি’শোরীর বাড়ির লোকজনের খোঁজ চলছে। পাওয়া গেলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তজুম’দ্দিন উপজে’লা হেলথ কমপ্লেক্সের সহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা রিপন চন্দ্র মণ্ডল জানান, ওই কি’শোরী এখন হাসপাতালে ভর্তি এবং সুস্থ আছে।