খাবারের স’ঙ্গে শ’রীরের যে একটা সরাসরি যোগ রয়েছে, সেকথা নিশ্চয় কারও অজানা নেই। আর এ বি’ষয়টি তো ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে যে, রোগে ভোগের পিছনে আমরা কী ধরনের খাবার খাচ্ছি তা অনেকাংশেই নির্ভর করে।
এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবে’ষণা পত্র অনুসারে এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগু’লি খেলে শ’রীরের ভে’তরে ক্যা’ন্সার সেল জ’ন্ম নেওয়ার আ’শঙ্কা বৃ’দ্ধি পায়। তাই তো চিকিৎসকেরা এইসব খাবারগু’লি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কী কী খাবারকে এক্ষেত্রে মুখে তুলতে নি’ষেধ করছেন চিকিৎসকেরা চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্প’র্কে-
প্রক্রিয়াজাত মাংস: আমেরিকার ‘ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াই’য়ের তত্ত্বাবধানে হওয়া এক গবে’ষণা অনুযায়ী, প্রক্রিয়াজাত মাংস অগ্ন্যাশয় ক্যা’ন্সারের ঝুঁ’কি প্রায় ৬৭ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। আসলে এমন ধরনের খাবারে এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ থাকে যেগু’লি ‘কারসিনোজেন’। অর্থাৎ এক প্রকার বি’ষ, যা শ’রীরে প্রবেশ করা মাত্র ক্যা’ন্সার সেলের জ’ন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা বৃ’দ্ধি পায়।
ক্যানড ফুড: টিনজাত খাবারকে দীর্ঘদিন তাজা রাখতে এমন কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা শ’রীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়।
আলুর চিপস: হাইড্রোজেনেইটেড ভেজিটেবল অয়েল এ ভাজা এই সব চিপসে প্রচুর মাত্রায় লবণ থাকে, যা ওজন বৃ’দ্ধির পথ প্রশস্ত করে। সেই স’ঙ্গে আরও সব মরণ রোগের প্রকোপ বৃ’দ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
মাইক্রোওয়েভ তৈরি পপকর্ন: খাবারটি বানানোর পদ্ধতি, সব কিছুই এতো অবৈজ্ঞানিক যে এমন খাবার খেলে ফুসফুসের ক্যা’ন্সারে আ’ক্রান্ত হওয়ার আ’শঙ্কা বৃ’দ্ধি পায়।
পরিশোধিত সাদা আটা: আটাকে যখন পরিশোধিত করা হয় তখন প্রায় তার সব পুষ্টিগুণই ন’ষ্ট হয়ে যায়। পরে একে ক্লোরিন গ্যাসের সাহায্যে ব্লিচ করা হয়, যাতে ক্রেতার চোখে আ’কর্ষণীয় লাগে।
সোডা বা কোল্ড ড্রিঙ্ক: গত দশক ধরে একাদিক গবে’ষণা হয়েছে এর উপর। সবকটিতেই দেখা গেছে এমন পানীয়তে হাই ফ্রকটোস কর্ন সিরাপ, নানাবিধ কেমিক্যাল এবং ডাই থাকে, যা শ’রীররে অন্দরে মা’রাত্মক ক্ষ’তি সাধ’ন করে নানাবিধ জটিল রোগে আ’ক্রান্ত হওয়ার আ’শঙ্কা বৃ’দ্ধি করে। তাই একথা বলা যেতে পারেই যে, এমন ঠান্ডা পানীয় খাওয়া প্রায় বি’ষ খাওয়ারই সমান।