অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না ‘Excess is everything bad’. হস্তমৈথূনের ক্ষেত্রে ও কথাটা একইভাবে প্রযোজ্য। ইয়ং ছেলে মে’য়েদের মধ্যে হস্তমৈথূনের প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কিন্তু ‘অতিরিক্ত হস্তমৈথূন’ আজকের ইয়ং জেনারেশনের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘অতিরিক্ত হস্তমৈথূন্য জনিত সমস্যা সমাধান’ করতে হবে। সেজন্য প্রথমেই ছেলেমেয়েদের হস্তমৈথূন্য বি’ষয়ে সচেতন করতে হবে।
আজকের আমাদের আলোচ্য বি’ষয় আসলে হস্তমৈথূন কি? আর হস্তমৈথূনের উপকারীতা কি? সে সম্প’র্কে বিস্তারিত আলোচনা, আসুন দেখে নেওয়া যাক –
হস্তমৈথূন :
হস্তমৈথূন একরূপ যৌ’নক্রিয়া, যেখানে একজন না’রী বা পুরু’ষ কোনো স’ঙ্গী বা স’ঙ্গীনির অংশগ্রহণ ছাড়াই যৌ’নসু’খ উপভোগ করার চেষ্টা করে। যেহেতু প্রধানত হাতের সাহায্যে একজন পুরু’ষ তার লি’ঙ্গ এবং একজন না’রী তার যো’নী ঘর্ষন করে তাই একে হস্তমৈথূন বলা হয়ে থাকে।
হস্তমৈথূনের সুফল :
হস্তমৈথূনের কিছু সুফল রয়েছে যা আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপনের জন্য উপকারী –
হস্তমৈথূনের মাধ্যমে রো’গ প্রতিরোধ ক্ষ’মতা বাড়ে।
নি’য়মিত হস্তমৈথূনে ঘুম ভালো হয়। যেহেতু হস্তমৈথূনের জন্য শ’ক্তিক্ষয় হয় তাই ক্লান্ত লাগে ফলে ঘুম চলে আসে।
হস্তমৈথূনের কুফল :
হস্তমৈথূনের কিছু সুফল বা উপকারী দিক যেমন আছে তেমনি খা’রাপ দিক ও রয়েছে। তাই এই হস্তমৈথূন প্রচুর সমস্যা ও সৃষ্টি করে। হস্তমৈথূনের ফলে যে যে সমস্যা দেখা যায় তা নিম্নলিখিত :
হস্তমৈথূন্য জনিত সমস্যা :
‘হস্তমৈথূন’ এমন একটি স্বাভাবিক যৌ’নক্রিয়া,যা নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও অতিরিক্ত মাত্রায় বা বদ অভ্যাসে পরিণত হলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষ’তিকারক হয়ে দাঁড়ায়।ফলে অনেকের যৌ’নজীবনকে ও বি’পর্যস্ত করে তোলে।
অতিরিক্ত হস্তমৈথূন করার ফলে মানবজীবনে দুই ধরণের সমস্যা হয়ে থাকে – শা’রীরিক সমস্যা ও মা’নসিক সমস্যা।
শা’রীরিক সমস্যা :
অতিরিক্ত হস্তমৈথূনের কারণে শ’ক্তি হ্রাস হয় সেই সাথে শা’রীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় মাথা ব্যাথা, মাথা ঘোরা।
এছাড়া ও যে সব শা’রীরিক সমস্যা দেখা দেয় তা জেনে নিন বিস্তারিত :
অতিমাত্রায় হস্তমৈথূনে যৌ’নক্রিয়ার সাথে জ’ড়িত স্নায়তন্ত্র দু’র্বল হয়ে পড়ে। এমনকি যৌ’নরো’গ ও দেখা দেয় পুরু’ষ বা না’রী উভ’য়ের মধ্যে।
অতিরিক্ত হস্তমৈথূন চোখের ক্ষ’তি করে, দৃষ্টিশ’ক্তি দু’র্বল করে তোলে।
অতিরিক্ত হস্তমৈথূনের জন্য পুরু’ষের বী’র্যে শুক্রানুর সংখ্যা কমে যাওয়ায় পুরু’ষ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়।
অতিরিক্ত হস্তমৈথূনের ফলে পুরু’ষ যেসব সমস্যায় ভুগতে পারেন তার মধ্যে অন্যতম হল নপুংসকতা। অতিরিক্ত হস্তমৈথূনে পুরু’ষ যৌ’নস’ঙ্গ’মে অ’ক্ষম হয়ে পড়ে ও ধীরে ধীরে নপুংসক হয়ে যায়।
অতিরিক্ত হস্তমৈথূনে অনেক পুরু’ষ তাদের লি’ঙ্গে দু’র্বলতা অনুভব করে যার কারন হল অল্প বয়সে হস্তমৈথূন করা।
অতিরিক্ত হস্তমৈথূন পুরু’ষের যৌ’না’ঙ্গকে শিথিল করে তোলে যার কারন হতে পারে ভু’ল পদ্ধতিতে হস্তমৈথূন।
অতিরিক্ত হস্তমৈথূনের ফলে দ্রু’ত বী’র্যপাত হতে থাকে যার ফলে বিবা’হিত জীবনে সমস্যা দেখা দেয়।
পু’রুষাঙ্গে ছিদ্র সৃষ্টি হয় এবং প্রসাবে বাঁ’ধা দেয়।
অতিরিক্ত হস্তমৈথূনের জন্য শ’রীর দু’র্বল লাগে।অতিরিক্ত হস্তমৈথূন করার ফলে বিয়ের পর স্বা’মী অনেক সময় স্ত্রী কে যৌ’নতৃ’প্তি দিতে পারে না। তাই সাংসারিক জটিলতা সৃষ্টি হয়।
অতিরিক্ত হস্তমৈথূনের জন্য পুরু’ষের শ’রীর থেকে বী’র্যপাত হওয়ায় টেস্টাটেরন হরমোনের উপর প্রভাব পড়ে ফলে হজম ক্ষ’মতা কমতে থাকে।
মা’নসিক সমস্যা :
অতিরিক্ত হস্তমৈথূনের কারণে শা’রীরিক সমস্যার সাথেই নানারকম মা’নসিক সমস্যা ও দেখা দেয়। ব্যক্তি মা’নসিক কোনো কাজে অসমর্থ হন ফলে নির্জনতা পছন্দ করে, তার জ্ঞান বৈকল্য দেখা দেয়।
অতিরিক্ত হস্তমৈথূন্যজনিত সমস্যা সমাধান :
অতিমাত্রায় হস্তমৈথূন্য জনিত সমস্যা অনেকের যৌ’নজীবনকে বি’পর্যস্ত করে তুলছে।
বর্তমান জনজীবনকে বাঁচাতে অতিরিক্ত হস্তমৈথূন্য জনিত সমস্যা সমাধান করতে হবে।
অতিরিক্ত হস্তমৈথূন্য জনিত সমস্যা সমাধান করতে হলে অতিমাত্রায় হস্তমৈথূন বন্ধ করতে হবে। আর আমরা নিজেরাই একটু সচেতন হয়ে, নিজেদের প্রচেষ্টায় এই হস্তমৈথূন জনিত সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি।