ক’রোনা পরীক্ষা জালিয়াতির আলোচিত মা’মলায় গ্রে’প্তার হয়েছেন জাতীয় হৃদরো’গ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. সাবরিনা চৌধুরী। স’রকারি কর্মকর্তা হয়েও স্বা’মী আরিফ চৌধুরীর জেকেজি হেলথকেয়ার,
যা জালিয়াতিতে জ’ড়িত বলে অভিযোগ, তার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে গ্রে’প্তার হয়ে পু’লিশ রি’মান্ডে আছেন অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার। পিএইচডি
করছেন চীনের উহানে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন আরেক না’রী রাহাত আরা খানম ওরফে ফারজানা মহিউদ্দিন ওরফে তূর্ণা আহসান।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সফল না’রী উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। ফেসবুকের মাধ্যমে প্র’তারণার অভিযোগে গত সপ্তাহে ১২ নাইজেরিয়ানের স’ঙ্গে গ্রে’প্তার হন এই তরুণী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার পদে যোগ দেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। শারমিন জাহান ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি গবে’ষণার জন্য শিক্ষা ছুটি নিয়ে চীনের উহানে যান।
সেখানে থাকতেই ব্যবসা শুরু করেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শারমিন মর্যাদাসম্পন্ন অবস্থানে থাকলেও রাতারাতি বড়লোক হওয়ার জন্য নকল মাস্ক সরবরাহের কারবার শুরু করেন।
তূর্ণা আহসান ফেসবুক আইডিতে তিনি ‘বিজয়লক্ষ্মী না’রী’ গ্রুপ চালাতেন রাহাত আরা। টেলিভিশন টক শোতেও উপস্থিত হয়েছেন অনেকবার। ফেসবুকে বন্ধু হয়ে উপহার পাঠানোর নামে প্র’তারকচ’ক্রের স’ঙ্গে জ’ড়িত ছিলেন তিনি।
কাস্টমস কমিশনার হিসেবে পরিচয় দিয়ে টাকা আদায় করতেন রাহাত আরা।অ’পরাধ ত’দন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা বলছেন, ছদ্মনামে ফেসবুকে নিজেকে উপস্থাপনের মাধ্যমে দ্রু’ত সময়ে টাকার মালিক হতে অ’পরাধীচ’ক্রটির স’ঙ্গে জড়িয়ে পড়েন রাহাত আরা।
গত ২১ জুলাই পল্লবী বেনারসি পল্লীর ওই ছয়তলা ভবনে অ’ভিযান চা’লিয়ে রাহাতসহ ১২ নাইজেরিয়ানকে গ্রে’প্তার করে সিআইডি। ভবনের দ্বিতীয় তলায় তাদের অফিস। চতুর্থ তলায় থাকত বিদেশিরা আর ষষ্ঠ তলায় থাকতেন রাহাত আরা খানম। চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে বন্ধুত্বের একপর্যায়ে কাস্টমস কমিশনারের পরিচয়ে রাহাত আরা খানমকে দিয়ে ফোন করানো হতো।
গত ২৩ জুন জেকেজি হেলথকেয়ারে অ’ভিযান চা’লিয়ে পু’লিশ প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী আরিফ চৌধুরীকে গ্রে’প্তারের পর তাঁর চিকিৎসক স্ত্রী সাবরিনার নাম উঠে আসে। গত ১২ জুলাই জি’জ্ঞাসাবাদ শেষে সাবরিনাকে গ্রে’প্তার করে পু’লিশ।
এরপর দুই দফায় রি’মান্ডে নেওয়া হয়। তিনি জাতীয় হৃদরো’গ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিটের রেজিস্ট্রার। তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
জেকেজি হেলথকেয়ার ১৫ হাজার ৪৬০ জনের ক’রোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে।পু’লিশের গো’য়েন্দা বিভাগের (ডি’বি) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ত’দন্তে জেকেজির আহ্বায়ক হিসেবে ডা. সাবরিনা চৌধুরীর সম্পৃক্ত থাকার বি’ষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সূত্র: কালেরকন্ঠ