ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শাশুড়িকে ধ’র্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে আইয়ুব আলী (৩৭) নামে এক যুবককে গ্রে’প্তার করেছে পু’লিশ।
শাশুড়ির অভিযোগে আইয়ুব আলীকে গত রোববার (২৬ জুলাই) ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রে’প্তার করে মুক্তাগাছা থানা পু’লিশ। পরে ওইদিন রাতেই ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর গ্রে’প্তারকৃত আইয়ুব আলীর বি’রুদ্ধে সোমবার (২৭ জুলাই) কোতোয়ালি মডেল থানায় ধ’র্ষণ ও প’র্নোগ্রাফির দু’টি মা’মলা দায়ের করা হয়।
নি’র্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুক্তাগাছা উপজে’লার চা’পুরিয়া গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে মোটর চালক আইয়ুব আলীর সাথে প্রায় দশ বছর আগে একই উপজে’লার নরকোনা গ্রামের শাহজাহান মিয়ার মেয়ে শাহিদার বিয়ে হয়।
দুই পরিবারের মাঝে কয়েক বছর ধরেই টানাপোড়নের পর এ বছরের রমজান মাসে মেয়ের জামাই আইয়ুব আলী তার ছেলের জন্য নতুন জামাকাপড় ও কিছু নগদ টাকা দিবে বলে শাশুড়িকে ডেকে আনে মুক্তাগাছা শহরে।
এরপর ভালো জামা কিনে দেবার কথা বলে শাশুড়িকে নিয়ে যায় ময়মনসিংহ শহরে। পরে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে সেখানে আ’টকে রেখে আইয়ুব আলী তার শাশুড়িকে জো’র পূর্বক ধ’র্ষণ করে এবং ধ’র্ষণের চিত্র গো’পনে ভিডিও ধারণ করেও রাখে।
এ ঘ’টনার পর মানসম্মানের ভ’য়ে শাশুড়ি ঘ’টনাটি সে ওই সময় কাউকে জানায়নি। এরপর আরও কয়েকদিন আইয়ুব আলী তার শাশুড়িকে ফোন করে ময়মনসিংহ যেতে বলে।
তাতে সাড়া না দেওয়ায় শ্বশুর বাড়ির এক যুবকের ইমু নম্বরে মোবাইলে ধারণ করা ধ’র্ষণের ওই ভিডিওটি ছেড়ে দেয়।
এ ঘ’টনার পর আইয়ুব আলীর শ্বশুর শাহজাহান মিয়া তার স্ত্রী’কে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে ধ’র্ষিতা বা’দী হয়ে এ ঘ’টনায় মুক্তাগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।