সারাদেশঃ চাকরি জীবনের মাত্র ২৪ বছরেই টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। প্রচুর ব্যাংক ব্যালেন্সসহ ওসি প্রদীপের নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে রয়েছে ব্যবসা,
বাড়ি, প্লট-ফ্ল্যাট, দামি গাড়ি ও ভরি ভরি স্বর্ণালঙ্কার। অ’ভিযোগ রয়েছে তিনি মো’টা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়। সমাজ বিশ্লেষকদের ধারণা এসবই হয়েছে ক্রসফায়ারের ভ’য় আর ক্ষ’মতার দাপট দেখিয়ে।
অ’স্ত্রের ভ’য় দেখিয়ে চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় জায়গা দ’খল করে স্ত্রীর নামে বহুতল ভবন নির্মাণের অ’ভিযোগ রয়েছে তার বি’রুদ্ধে। চট্টগামের পাঁচলাইশ থানার ওসি থাকাকালে মুরাদপুরে দশ কাঠা জায়গা দ’খল করেন। সম্পদ গড়েছেন কক্সবাজারেও।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ওসি প্রদীপের চট্টগ্রামের দাশের লাল খান বাজারে একটি ফ্ল্যাট, কক্সবাজারে দুটি হোটেলের মালিকানা, বেয়ালখালীতে স্ত্রী চুমকির নামে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। রয়েছে মৎস্য খামার,
ওই জমির ছয়তলা ভবনের বর্তমান মূ’ল্য ১ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার, পাঁচলাইশে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ কোটি ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ টাকার জমি কেনা হয়;
২০১৭-১৮ সালে কেনা হয় কক্সবাজারে ঝিলংজা মৌজায় ৭৪০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট; যার দাম ১২ লাখ ৩২ হাজার টাকা। জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে এসআই হিসেবে পু’লিশে যোগ দেয়া প্রদীপ কুমার দাশ চাকরি জীবনের বেশিরভাগ কাটিয়েছেন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভ’য়, কখনো মি’থ্যা মা’মলায় ক্রসফায়ারের ভ’য় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অ’ভিযোগ রয়েছে তার বি’রুদ্ধে। চাকরি জীবনের ১৫ বছরের মাথায় এক বৃ’দ্ধের জায়গা দ’খল করে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটায় গড়ে তুলেছেন স্ত্রীর নামে বহুতল ভবন।
অবসরপ্রা’প্ত মেজর সিনহা হ’ত্যা মা’মলায় গ্রে’ফতারের পর তার সম্পদের বি’ষয়টি এখন সবার মুখে মুখে। এসব বি’ষয়ে নানা সময়ে কথা উঠলেও গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা দুদক ছিল নিঃশ্চুপ।
শেষমেষ সাবেক মেজর সিনহা হ’ত্যাকাণ্ডের পর প্রদীপ কুমার ও তার স্ত্রীর সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক। দু’র্নীতি দ’মন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয় ২ এর উপ পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন খুব দ্রু’তই এর প্রতিবেদন দেয়া হবে।