মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: হাত স্যানিটাইজ করে ঘুষের টাকা গ্রহণের ভিডিও ফাঁ’স হওয়ায় লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ই’নচার্জ (ওসি) মাহফুজ আলমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে ঢাকায় বদলী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাংবাদিকদের ওসি মাহফুজের বদলির হওয়ার বি’ষয়টি নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট পু’লিশ সুপার আবিদা সুলতানা। ওসি মাহফুজকে ঢাকায় ট্যুরিস্ট পু’লিশ পরিদর্শক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম নিজ কার্যালয়ে বসে বা’দী পক্ষকে ফাঁ’সাতে আ’সামি পক্ষকে পরামর্শ ও মা’মলা নেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ১০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। টাকা গ্রহণের আগে ক’রোনাভা’ইরাসেের ভ’য়ে নিজে এবং দাতাকে হাত স্যানিটাইজ করেন। এমন একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ওসি মাহফুজ আলম আ’সামির অবস্থান জানার পরও তাকে জা’মিন দিয়ে বা’দীর বি’রুদ্ধে একাধিক মা’মলা দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে ক’রোনাকালে ঘুষের টাকা নেওয়ার আগে তিনি হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জী’বাণুমুক্ত করতেও ভোলেননি।
ওসি মাহফুজ: তোমাদের বা’দীর (কা’রাগারে থাকা অবস্থায় তাকে বা’দী দেখিয়ে মা’মলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়) তো জা’মিন হয় নাই। জা’মিন না হতেই থানায় হাজির হয়ে এজাহার দেওয়া হলে তো বেআইনি হবে।
জা’মিনের কাগজসহ এসো, অভিযোগটি মা’মলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে। মা’মলা না হওয়া পর্যন্ত কোনো ঝামেলা করা যাবে না। ঝামেলা হলে তোমরা প্যাঁচে পড়ে যাবে।
ঘুষ দাতা: আমরা ঝামেলা করি নাই, করব না। প্রয়োজনে ওদিকে (তাদের বি’রুদ্ধে করা মা’মলার বা’দীর এলাকায়) কেউ যাব না।
ওসি মাহফুজ: মা’মলা এখানে একটা করে দেব, কোর্টেও একটা মা’মলা করবা এবং চেক ডিজঅনার করবে। এভাবে ঘুরবে (আঙুল ঘুরিয়ে দেখিয়ে দেন), চরকির মতো ঘুরবে। যারা বুদ্ধিদাতা তারা হেরে যাবে। তোমাকে ঠান্ডা মাথায় করতে হবে। গরম করা যাবে না।
ঘুষ দাতা: আস্তে আস্তে করতে হবে। একটা একটা করে। স্যার টাকা আজকে দিব নাকি মা’মলার দিন?
ওসি বললেন, সেটা তোমাদের ব্যাপার।
ঘুষ দাতা: স্যার, আপনাকে কমিটমেন্ট করতে হবে। যেদিন মা’মলা হবে, সেই দিনই আ’সামি ধরতে হবে।
ওসি: আ’সামিরা পুরু’ষ তো?
এরপর ঘুষ দাতা বলেন, স্যার স্যানিটাইজারটা একটু দেন।
এরপর ওসি মাহফুজ কাজ ফে’লে স্যানিটাইজার দিয়ে নিজেও হ্যান্ড রাব করে নেন এবং ঘুষ দাতার হাতেও স্যানিটাইজার দেন।
ঘুষ দাতা এসময় বলেন, স্যার, টাকা থেকেও ক’রোনা ছড়ায়। ত’দন্ত কর্মকর্তাকে আগে এক হাজার টাকা দিয়েছি স্যার।
এরপর ঘুষ দাতা পকেট থেকে টাকা বের করে টেবিলে রাখলে ওসি মাহফুজ আলম তা নিয়ে প্যান্টের পকে’টে রেখে বলেন, টাকা দিয়ে বেশি ছড়াচ্ছে। এখানে কত টাকা দিয়েছ?
ঘুষ দাতা: ১০ হাজার আছে স্যার।
ওসি: ওহ ঠিক আছে। ওকে (মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তাকে) আরও দুই হাজার টাকা দিও। সে মন খা’রাপ করেছে। তাকে খুশি রাখতে হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি মাহফুজ আলমকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি মোবাইল রিসিভ