স’রকারের বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে বেকার যুবকদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ঢাকার ধামরাইয়ে পু’লিশ দুইজনকে গ্রে’ফতার করেছে।
আ’টক ব্যক্তিদের নাম জাহাঙ্গীর আলম ও আপন হোসেন। জাহাঙ্গীর আলম চাকরি করেন ধামরাই উপজে’লা সমাজ সেবা কার্যালয়ে। আপন হোসেন আওয়ামী লীগ নেতা আলাল দেওয়ানের ছেলে।
জানা গেছে, জাতীয় গো’য়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), সমাজ সেবা, পু’লিশ, এয়ারপোর্টসহ বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ধামরাইয়ের বাস্তা নয়াচর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সজিব হাসানের কাছ থেকে ১১ লাখ, সমাজ সেবা অধিদপ্তরে মাঠ সুপারভাইজার পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বালিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান হিটলুর ছেলে মাকদুদুল আলম খানের কাছ থেকে ১১ লাখ,
গনকপাড়ার আবদুর রহমানের ছেলে রুবেল হোসেনের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তারা। চাকরি দিতে না পারায় ভু’ক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে তাদের নানা হু’মকি দেন প্র’তারক চ’ক্র।
রুবেল হোসেন জানান, তাকে এয়ারপোর্ট ই’নচার্জ পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে জাহাঙ্গীর আলম ও আপন হোসেন মিলে ১২ লাখ টাকা নিয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। কিন্তু তারা চাকরিও দিতে পারেনি, টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। তাই মা’মলা করেছি।
সুয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব জানান, জাহাঙ্গীর আলম স’রকারি চাকুরি দেয়ার নামে বহু লোকের নিকট থেকে টাকা নিয়েছে। যারা এখন প্রায় নিঃস্ব। প্র’তারকদের ক’ঠোর শা’স্তি দাবি করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, আপন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে বলে তাকে কেউ কিছু বলে না। কিন্তু ধামরাই থানা পু’লিশ তাকে ছাড়েনি। নেতার ছেলেকেও গ্রে’ফতার করেছে। ধামরাইয়ে অন্য প্র’তারকদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, জাহাঙ্গীর আলম ও আপন হোসেনসহ একটি চ’ক্র বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রে’ফতারকৃতদের সাতদিনের রি’মান্ড চেয়ে আ’দালতে পাঠানো হয়েছে।