সোমবার দুপুর ১টা ১৬ মিনিটে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আ’দালতের এজলাসে হাজির করা হয় টেকনাফ থানা থেকে বরখাস্ত হওয়া প্রদীপ কুমার দাশকে।
১টা ২৩ মিনিটে তাকে এজলাস থেকে কা’রাগারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সাত মিনিট সময়ের জন্য আ’দালত পাড়ায় চট্টগ্রাম নগর পু’লিশ (সিএমপি) যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে তা ছিল নজীরবিহীন।
মাত্র দেড়মাস আগেও যে প্রদীপ ক্ষ’মতার জো’রে সবাইকে তটস্থ রাখতেন সে প্রদীপের হাতে ছিল হাতকড়া। প্রায় ছয়ফুট উচ্চতার প্রদীপ হেলমেট পরেও মাথা নিচু করে সাড়ে সহকর্মী পু’লিশ সদস্যদের ভিড়ে মুখ লুকিয়ে ছিলেন।
মুখ লুকিয়ে আ’দালত ভবনের সামনে থেকে এজলাসে প্রবেশ করার সময় তাকে দেখতে ভিড় করে উৎসুক আইনজীবী ও আ’দালতে আসা লোকজন।
প্রদীপকে প্রিজনভ্যান থেকে নামিয়ে এজলাস এবং এজলাস থেকে প্রিজনভ্যানে উঠানো পর্যন্ত দুই পাশে ছিল পু’লিশী নিরাপত্তা বলয়।
দুপুর ১টা থেকে ১টা ৩০ মিনিট পু’লিশের সারিবদ্ধ লাইনে কেউ প্রবেশ করতে পারেনি। প্রদীপকে এজলাস থেকে আ’দালতের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে পৌঁছাতেই আইনজীবীদের একটা অংশ ‘ধর ধর, খু’নি ধর’ বলে শোরগোল করে উঠে।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট সে’নাবা’হিনীর অবসরপ্রা’প্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হ’ত্যা মা’মলায় আ’টক ও বরখাস্ত হওয়া টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং তার স্ত্রী চুমকি কারণ এর বি’রুদ্ধে প্রায় চার কোটি টাকার অ’বৈধ সম্পদ অর্জনের অ’ভিযোগে মা’মলা করেছিল দু’র্নীতি দ’মন কমিশন (দুদক)।
এর মধ্যে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকা ওসি প্রদীপ ঘুষ-দু’র্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে দুদক অ’ভিযোগ এনেছে। আরও ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদের ত’থ্য বিবরণীতে গো’পন করার অ’ভিযোগও আনা হয়েছে চুমকির বি’রুদ্ধে।
প্রদীপ ঘুষ-দু’র্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করে স্ত্রীর নামে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করেছেন বলেও দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন এবং এজাহারে বলা হয়েছে। দুদকের চট্টগ্রাম জে’লা সমন্বিত কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বা’দী হয়ে মা’মলাটি দা’য়ের করেছেন।
ঘ’টনাস্থল বিবেচনায় মা’মলাটি করা হয়েছে দুদকের চট্টগ্রাম জে’লা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ। মা’মলা নম্বর ১১। এই মা’মলায় সোমবার দুপুরে প্রদীপ কুমার দাশকে চট্টগ্রাম আ’দালতে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য, প্রদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজে’লার সারোয়াতলী ইউনিয়নের উত্তর সারোয়াতলী গ্রামের মৃ’ত হরেন্দ্র লাল দাশের ছেলে।
চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা আর সি চার্চ রোডে তাদের নিজস্ব একটি আবাসিক ভবন আছে। সেই ভবনে তার স্ত্রী চুমকি কারণ স’ন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন।