সারাদেশঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাস’চিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স’রকারকে উদ্দেশ্য বলেছেন, আপনারা মনে করছেন আপনাদের অনেক ক্ষ’মতা। ধরে নিয়ে যাবেন, গু’ম করে দেবেন।
কিন্তু কখন যে আপনাদের সিংহাসন চোরাবালির মধ্যে ডুবে যাবে আপনি সেটা টেরই পাবেন না। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক একেএম ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকুরিচ্যুত করার প্র’তিবাদে এক মা’নববন্ধ’নে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, দুজন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কেনো করা হয়েছে? তারা কি কোনো অন্যায় করেছে? কোনো দু’র্নীতি করেছে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত করার যে আইন আছে সেই আইনের মধ্যে কি তারা পড়েছে? অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে কেনো চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তা আপনারা জানেন। তিনি জিয়াউর রহমানের নিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখেছেন। এইটা হচ্ছে অ’পরাধ।
আপনি যদি বলেন যারা ভিন্নমতে বিশ্বাসী, যারা বি’রোধী দলের বিশ্বাসী, তোমাদের খাওয়ার অধিকার নাই, তোমাদের তৃষ্ণা পেলে পানি খাওয়ার অধিকার নেই, তোমরা ক্ষুধায়- তৃষ্ণায় ম’রে যাও। আপনি এই কর্মসূচি দেন।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের কর্মকাণ্ড কী? ছাত্রদের পড়ানো। শিক্ষকতা করা। ড. মোর্শেদ তাই করতেন। তিনি মেট্টিক থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি পর্যন্ত সবগুলোই ফার্স্টক্লাস পাওয়া।
মেট্টিক ও ইন্টারমিডিয়েটে স্ট্যান্ড করেছে। তাকে ব’হিষ্কার করা হলো। ওয়াহিদুজ্জামানও সবগুলোতে প্রথম শ্রেণি প্রা’প্ত শিক্ষক। না হলে তো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া যায় না। ড. মোর্শেদের অতুলনীয় মেধা। তাকে ভিন্নমতের কারণেই চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকরিতে পুর্নবহালের দাবিও
এ সময় জানান তিনি। মা’নববন্ধ’নে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মৎসজীবী দলের সদস্য স’চিব আব্দুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।