আইসিসির দেওয়া নি’ষেধা’জ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকে’টে ফেরার প্র’স্তুতি নিচ্ছেন সাকিব। ২৮ অক্টোবর শেষ হচ্ছে তার নি’ষেধা’জ্ঞা। শ্রীলঙ্কা সিরিজ হলে, দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই সাকিবকে পাওয়ার আশা বিসিবির।
ক্রিকেট ভ’ক্তদের অনেকের মনেই প্রশ্ন, সাকিব নি’ষেধা’জ্ঞা কা’টিয়ে ফিরলেই কি অধিনায়কত্ব ফিরে পাবেন? এমন কৌ’তূহলের কারণ নি’ষেধা’জ্ঞার আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ছিলেন তিনিই।
সাকিব নি’ষি’দ্ধ হওয়ায় টেস্ট দলের দায়িত্ব দেওয়া হয় মুমিনুল হককে, টি-টোয়েন্টি দলের মাহমুদউল্লাহ। আর মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ওয়ানডে নে’তৃত্ব ছাড়ার পর অধিনায়ক করা হয় তামিম ইকবালকে।
এমন প্রে’ক্ষিতে বিসিবি সভাপতি নিজের একা’ন্ত ভাবনা জানিয়েছেন। ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্ম’দের ইউটিউব শো নটআউট নোমান অনুষ্ঠানকে দেওয়া বিশেষ সা’ক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি নিজের ভাবনা তুলে ধরেন।
আমি ধ’রি সে ভিন্ন একটা মানুষ। সবার কাছে তার গ্রহণযো’গ্যতাও অনেক বেশি। এটা অধিনায়ক’ত্বের ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ওর সব গুনই আছে তিন ফরম্যাটে নে’তৃত্ব দেওয়ার। ’
তাহলে সাকিবকে কি তিন ফরম্যাটেই নেতৃ’ত্বে ফেরাচ্ছে বিসিবি? দেশের ক্রিকে’টের অভিভাবক সংস্থা আসলে ওভাবে ভাবছে না বি’ষটি। নাজমুল হাসান পাপন বললেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনেকরি, আমাদের আসলে ফরম্যাট অনুযায়ী অধিনায়ক আলাদা রাখতে পারলে ভালো হয়।
এই পরিকল্পনাটা হচ্ছে আলাদা যদি দল থাকে। এখন পুরো টিম তো আর আলাদা হবে না। অন্তত প্রতি ফরম্যাটের জন্য যদি তিন-চারটা স্পে’শালিস্ট খেলোয়াড় পাওয়া যায়।
বিশেষ করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। এই প্রক্রিয়া থেকেই আসছে অধিনায়ক আলাদা হলে ভালো হয়। এর মানে এই না সাকিব হলে বা অন্য কেউ হলে পারবে না। ’
আর বিসিবির ভাবনা যাকেই অধিনায়ক দেওয়া হোক সেটা দীর্ঘ সময়ের জন্য দেওয়া হবে, ‘একটা জিনিস ঠিক করেছি যে, যাকেই যেটা দেওয়া হয়, এটা আমরা দীর্ঘ সময়ের জন্য দেব।
উদাহরণ স্বরূপ আমরা যখন ওয়ানডেতে তামিম ইকবালকে দিয়েছি, সেটা আমরা দীর্ঘ সময়ের জন্য দিয়েছি। একটা স’মস্যা হয় কি, কয়েক দিন পর পর পরিবর্তন করলে এটা অনেকে নিতেও চায় না।
অস্ব’স্তি বো’ধ করে। ওরা বলে আমি সুযোগই পাইনি প্রমাণের। আমরা কিন্তু একটু দীর্ঘ মেয়াদেই চিন্তা করছি। ’
নাজমুল হাসান পাপন যোগ করেন, ‘সাকিব নিঃস’ন্দে’হে তিন ফরম্যাটেই হতে পারে। কিন্তু আমাদের মধ্যে এরকম কোনো চিন্তা নেই, সব ফরম্যাটে সাকিব হবে। ’