ক’রোনাভা’ইরাসেের কারণে এবার ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে জাতিসংঘের বৈঠক। আগামী মঙ্গলবার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের উদ্বোধ’নী অনুষ্ঠানে ভোর ৪টায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঢাকা থেকে আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট সাতটি অধিবেশনে অংশ নেবেন তিনি। এ সময় ক’রোনাভা’ইরাসে (কো’ভিড-১৯) রো’হিঙ্গা, জলবায়ু পরিবর্তন,
লৈঙ্গিক বৈষম্য হ্রাস, অভিবাসী শ্র’মিকদের অধিকার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসহ অন্যান্য বি’ষয় নিয়ে কথা বলবেন। আজ সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মূ’ল বক্তব্য দেবেন। সেখানে তিনি রো’হিঙ্গা বি’ষয়সহ অন্যান্য বি’ষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
তবে আগে যা বলেছেন তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তিনি বক্তব্য দেবেন। প্রতিবারের মতো এবারও জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলাদেশ রো’হিঙ্গা স’মস্যাটি তুলে ধরবে।
বিশেষ করে রো’হিঙ্গাদের বি’রুদ্ধে সংঘটিত অ’পরাধ বি’ষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আইসিজেতে চলমান মা’মলা এবং আইসিসিতে রো’হিঙ্গা নি’র্যাতনে দায়ী ব্যক্তিদের বি’রুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে এবারের অধিবেশনে রো’হিঙ্গা স’মস্যা আগের বছরগুলোর মতোই গুরুত্বসহকারে আলোচিত হবে।’
এবার ভার্চ্যুয়াল বৈঠক হওয়ার কারণে কোনো সাইডলাইন বৈঠক হবে না বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর জাতিসংঘের ৭৫ বছর পূর্তি। অনুষ্ঠিতব্য এ অধিবেশন যেমন বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বহুপাক্ষিকতাবাদের প্রাস’ঙ্গিকতাকে সামনে নিয়ে আসবে,
তেমনি বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আগামী বছরগুলোতে কী ধরনের জাতিসংঘ দেখতে চান সে বি’ষয়ে তাদের অভিমত, চিন্তাধারা ও পরিকল্পনা তুলে ধরবেন।
কো’ভিড-১৯ ম’হামা’রি দ’মনে রাষ্ট্রসমূহের সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনার বি’ষয়টিও এবারের অন্যতম আলোচিত বি’ষয় হিসেবে গণ্য হচ্ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এবারের অধিবেশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একদিকে যেমন কো’ভিড-১৯ মো’কাবিলায় বাংলাদেশ স’রকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের বি’ষয়ে আলোকপাত করতে পারবেন,
তেমনি এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্য ও অগ্রগতি, না’রী উন্নয়ন ও না’রীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অনুসরণীয় কার্যক্রম, দারিদ্র্য বিমোচনে গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপ,
স’ন্ত্রাসবাদ, জ’ঙ্গিবাদ দ’মন ও মা’দকের বিস্তার রোধ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, গণতন্ত্র ও সুশাসনের ধারা অব্যাহত রাখা ও সর্বোপরি বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের অবদানের বি’ষয়ে বিশ্ববাসীকে অবহিত করতে পারবেন।