ত’থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে
ব্যর্থ হয়ে ক্রমাগতভাবে ষ’ড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি। পাকিস্তানি গো’য়েন্দা ও গো’য়েন্দা সংস্থার স’ঙ্গে তাদের যে দহরম-মহরম সেটা বহু পুরনো।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস মি’লনায়তনে দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এম এ খালেক ইঞ্জিনিয়ারের মৃ’ত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে ত’থ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে পাকিস্তানের গো’য়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বিএনপিকে পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। এ সংস্থার সাবেক প্রধান জবানব’ন্দিতে তা আ’দালতে স্বীকার করেছেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, ষ’ড়যন্ত্রের পথ পরিহার করতে। অতীতে ষ’ড়যন্ত্রের পথ অবলম্বন করে বিএনপি
যে এগুতে পারেনি তারা নিশ্চয় অনুধাবন করতে স’ক্ষম হয়েছে। না হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে মানুষ পর পর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষ’মতায় বসাত না। তাই ষ’ড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্র যে ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করে অনেক উন্নত দেশেও কিন্তু সংবাদপত্রের এমন স্বাধীনতা নাই। ইউকে’তে ১৬৭ বছরের পুরনো পত্রিকা ছিল ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’।
সেটি পৃথিবীর বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা ছিল একসময়। সেই পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। একটি ভু’ল সংবাদ পরিবেশনের কারণে মা’মলা হয়।
মা’মলার পর তাদের ও’পর বিরাট জরিমানা করে আ’দালত। সেই জরিমানা দিতে না পেরে কোম্পানি পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, একজন এমপি’র বি’রুদ্ধে ভু’ল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে বিবিসি’র পুরো টিমকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। ইউকে এবং কন্টিনেন্টাল ইউরোপে হরহামেশা ভু’ল এবং অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে পত্রিকা এবং গণমাধ্যমকে জরিমানা দিতে হয়।
আমাদের দেশে সেটি কখনো হয়নি। সংবাদপত্র এ সমস্ত কারণে বন্ধ হয়নি। সেজন্য বলছি অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে।
দৈনিক আজাদী সম্প’র্কে ত’থ্যমন্ত্রী বলেন, দৈনিক আজাদী পত্রিকা বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত পত্রিকাগুলোর মধ্যে একটি। ঢাকার অনেক পত্রিকার চেয়ে দৈনিক আজাদী পত্রিকার সার্কুলেশন বেশি।
এই কৃতিত্ব প্রথমত ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক সাহেবের, তিনি দূরদৃষ্টি নিয়ে এই পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে যারা এই পত্রিকার হাল ধরেছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই পত্রিকাকে অত্যন্ত সফলতার সাথে পরিচালনা করে আসছেন।
‘স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম যখন অন্য পত্রিকা ছাপেনি তখন দৈনিক আজাদী পত্রিকা ছেপেছে। সেজন্য দৈনিক আজাদী পত্রিকা পরিবার গর্ব করে বলে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা। আজাদী শুধুমাত্র পত্রিকা নয়, একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। ’
সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মাহামুদুল ইসলাম চৌধুরী, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক বক্তব্য দেন। স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি এ সেমিনারের আয়োজন করে।