ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নির মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি জামিরুল ইসলাম জোয়ারদার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাকে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
গত ১ অক্টোবর মধ্য রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নিকে নিজ বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করেন।
এরপর তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিন্নিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে তিন্নির মায়ের বর্ণনায় ফুটে উঠেছে সেই রাতের নৃশংসতা।
নিহত তিন্নির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বড় বোনের আগেই বিয়ে হয়ে গেছে। তিন বোনের মধ্যে তিন্নি ছিলেন ছোট।
মেঝ বোনের বিয়ে হয়েছিল তাদের এক কাজিন জামিরুলের সঙ্গে। তবে বিভিন্ন কারণে সে বিয়ে টেকেনি। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শৈলকুপার শেখপাড়া গ্রামে নিজের ঘর থেকেই তিন্নির মরদেহ উদ্ধার হয়।
মা হালিমা বেগম বলেন, ওইদিন তিন্নি এক বান্ধবীর বিয়ের অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া গিয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরে রাত ৮টার দিকে।
এর কিছু সময় পর মেজো মেয়ে মিন্নির তালাকপ্রাপ্ত স্বামী জামিরুল গোপনে তিন্নির রুমে ঢোকে এবং খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে।
তিন্নি বাইরে থেকে এসে পোশাক বদল করে বাসার নিচ তলায় তার সঙ্গে (মা হালিমার সঙ্গে) দেখা করে, একটু বসে। এরপর ঘুমাতে তার রুমে যায়।
তিন্নির মা আরো বলেন, এরপর তিন্নি বুঝতে পারে তার খাটের নিচে কেউ লুকিয়ে আছে। লোকটি খাটের নিচ থেকে বের হয়ে এক পর্যায়ে তিন্নিকে জাপটে ধরে। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এ সময় চিৎকার দেয় তিন্নি। লোকটি ছিল জামিরুল।