সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে নি’র্যাতনে নি’হত রায়হান উদ্দিনের (৩০) দেহে ১১১ আ’ঘাতের চিহ্ন উঠে এসেছে ফরেনসিক রিপোর্টে।
এসব আ’ঘাতের ৯৭টি লীলাফোল আ’ঘাত ও ১৪টি ছিল জ’খমের চিহ্ন। আ’ঘাতগুলো লা’ঠি দ্বারাই করা হয়েছে।
আর অতিরিক্ত আ’ঘাতের কারণে দেহের ভেতর রগ ফে’টে গিয়ে র’ক্তক্ষরণে রায়হানের মৃ’ত্যু হয়।
আ’ঘাতে দেহের মাংস থেতলে যায়। রগ ফে’টে গিয়ে আন্তঃদেহে র’ক্তক্ষরণ (ইন্টারনাল ব্লিডিং) হয়।
তিনি বলেন রিপোর্টটি পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার সকাল ৭ টা ৫০ মিনিটে রায়হানের মৃ’ত্যু হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দ্বিতীয় ম’য়নাত’দন্ত শেষে ডা. শামসুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন,
রায়হানের শরীরে অসংখ্য আ’ঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে প্রচণ্ড মা’রধর করা হয়েছে। এ কারণেই অতিরিক্ত আ’ঘাতে তার মৃ’ত্যু হয়।
ওইদির রায়হানের ম’রদেহ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ম’য়নাত’দন্ত শেষে বিকেলে আখালিয়া নবাবী মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে ফের দাফন করা হয়।
গত রোববার (১১ অক্টোবর) ভোর রাতে পুলিশ ফাঁড়িতে নি’র্যাতন করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃ’ত্যু হয়।
এ ঘটনায় নি’হতের স্ত্রী বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় হ’ত্যা মা’মলা দা’য়ের করেন। এরপর আকবরসহ ৪ পুলিশকে বরখাস্ত ও ৩ জনকে প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনার পর রোববার থেকে আকবর প’লাতক রয়েছেন।
মা’মলাটি পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশ পিবিআইতে স্থানান্তর হয়। ত’দন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইর টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি,
নগরের কাস্টঘর, নি’হতের বাড়ি পরিদর্শন করে। সর্বপরি ম’রদেহ কবর থেকে তুলে পুনঃময়না ত’দন্ত করে।
রায়হানের হ’ত্যার ঘটনায় এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ জ’ড়িতদের গ্রে’ফতার ও ফাঁ’সির দাবিতে জো’রদার হচ্ছে আন্দোলন।
প্রতিদিন সিলেট নগরের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ মা’নববন্ধন এবং রাস্তা অ’বরোধ করেছে বিক্ষু’ব্ধ জনতা।