গণমাধ্যম বিবিসির দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ২২০টি সম্ভাব্য ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে এগিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন।
তিনি এখন ডেলাওয়ারে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘নিশ্চিত জয়ের পথে’ রয়েছেন তারা।যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে একসঙ্গে ভোট হলেও মূলত সবারই নজর থাকে
ব্যাটলগ্রাউন্ড খ্যাত কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের দিকে। এগুলোকে বলা হয় সুইং স্টেট। নির্বাচনি ফলাফল নির্ধারনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এ অঙ্গরাজ্যগুলো।
নিউ হ্যাম্পশায়ার বাদে বাকি সুইং স্টেট মিশিগান, জর্জিয়া ও উইসকনসিনে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প। ফ্লোরিডা ও টেক্সাসে জয় নিশ্চিত করতে সমর্থ হয়েছেন তিনি।
বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। আমরা যে অবস্থায় রয়েছি, তাতে আমরা আশাবাদী। আমরা অ্যারিজোনায় জয় পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
এর মধ্যেই মিনেসোটায় জয় পেয়েছি। জর্জিয়াতেও আমাদের সম্ভাবনা রয়েছে। মিশিগানে জয় পাওয়ার ব্যাপারেও আমরা আশাবাদী।
পেনসালভানিয়াতে ভোট গণনা শেষ হতে সময় লাগবে। সব ভোট গণনা শেষ হলে সেখানেও আমরা জয় পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’
ভা’রতে মু’সলিম’দের অবদান মুছে দেয়া হচ্ছে: অম’র্ত্য সেন
ভা’’ রতে মু’সলিম’দের অবদান মুছে দেয়া হচ্ছে বলে অ’ভিযোগ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অম’র্ত্য সেন। তিনি বলেছেন, ভা’’ রত সরকারের ক’র্তাব্যক্তিরা মু’সলিম’
দের অধিকার হননের ব্যাপারে অ’তিমাত্রায় তৎপর। বহু স্কুলপাঠ্য বইতে এমন আদ্যন্ত মনগড়া ইতিহাস পরিবেশিত হচ্ছে, যেগুলোতে মু’সলিম’দের অবদানকে হয় ঢেকে দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার জার্মান বুক ট্রেডের দেয়া শান্তি পুরস্কার-২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।অম’র্ত্য সেন বলেন, এ দেশে হিন্দু এবং মু’সলিম’রা শতশত বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করে এসেছেন
কিন্তু ইদানীং রাজনৈতিকভাবে ‘চরমপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো’র আচরণে এ দেশীয় মু’সলিম’দের বিদেশি হিসেবে গণ্য করার চেষ্টা প্রকট হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, তারা এমন দোষারোপও করছে যে, মু’সলিম’রা দেশের ক্ষতি করে চলেছেন। চরমপন্থী হিন্দু রাজনীতির ক্রমবর্ধমান শক্তি এতে ইন্ধন জুগিয়ে চলেছে।
এবং এরফলে সমাজে ধ’র্মাশ্রিত বৈরভাব ও গোষ্ঠীগত বিচ্ছিন্নতা বিপুলভাবে বাড়ছে।দেশটির সংস্কৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ভা’’ রতীয় সংস্কৃতি হল নানা ধ’র্মের লোকেদের যৌথ সাধনার ফল।
সঙ্গীত বা সাহিত্য থেকে চিত্রকলা ও স্থাপত্য পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রে এই সমন্বয়ের দেখা মেলে।তিনি আরও বলেন, ভা’’ রতের বাইরের লোকেরা যাতে পড়তে পারেন,
সেই উদ্দেশ্যে উপনিষদের মতো হিন্দু শাস্ত্রগুলোর তর্জমা’র কাজটি শুরু করেন দারা শুকো-সম্রাজ্ঞী মুমতাজের জ্যেষ্ঠপুত্র, যে মুমতাজের স্মৃ’তিতে ‘তাজমহল’ নির্মাণ করিয়েছিলেন সম্রাট শাহ’জাহান।