আন্তর্জাতিকঃ ১৭ বছরের কি’শোরীকে বিয়ে করেছিলেন ৭৮ বছরের বৃ’দ্ধ। মাস খানেক আগের ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাবা দ্বীপের সুবাং এলাকার এই বিয়ে নিয়ে হইচই হয়েছিল বিস্তর।
বয়সের পার্থ্যকের কারণেই এত আলোচনা। কিন্তু এক মাসও টিকল না সেই দাম্পত্য। বিয়ের ২২ দিন পরই বিচ্ছেদ। গত ৩০ অক্টোবর হয়েছে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ।
৭৮ বছরের ওই বৃ’দ্ধের নাম আবা সারনা। ১৭ বছরের পাত্রীর নাম ননি নভিতা। সম্প্রতি নভিতাকে বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি পাঠান আবা।
তা দেখেই হতভম্ভ হয়েছেন নভিতার পরিবারের লোকেরা। কারণ, ওই দম্পতির মধ্যে কোনও রকম গোলমাল ছিল না। নভিতার বোন ইয়ান সে দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন,
‘এই খবর পাওয়ার পর একদিন কোনও খাবার খায়নি আমার বোন।’ অন্য দিকে, আবার পরিবারের অ’ভিযোগ ছিল, বিয়ের আগেই অ’ন্তঃসত্ত্বা ছিলেন নভিতা। কিন্তু এই অ’ভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন নভিতার বোন ইয়ান। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
চিকিৎসক বললেন অসম্ভব, তার পরেও চমৎকার ঘটনা ঘটে গেল!
দিনাজপুরে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন পারভীন বেগম (৩০) নামের এক নারী। নরমাল ডেলিভা’রির মাধ্যমে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই নারী।
দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লের গাইনি ওয়ার্ডে তিন সন্তানের নরমাল ডেলিভা’রি করানো সম্ভব না হলেও বীরগঞ্জ উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক এটি সম্ভব করেছেন।
পারভীন বেগম বীরগঞ্জ উপজে’লার ৫ নম্বর সুজালপুর ইউনিয়নের বর্ষা চেঙ্গাইক্ষেত্র গ্রামের কৃষক মো. শফিকুল ইস’লামের স্ত্রী’।বুধবার (০৪ নভেম্বর)
বীরগঞ্জ উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। নরমাল ডেলিভা’রির মাধ্যমে দুই ছে’লে ও এক মে’য়েসন্তানের জন্ম দেন এই মা।
একসঙ্গে তিন সন্তান জন্ম দেয়ায় উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসূতির আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশী ও উৎসুক জনতা শি’শুদের দেখতে ভিড় করেন।
উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মক’র্তা চিকিৎসক আফরোজ সুলতানা লুনা বলেন, তিন সন্তানের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তাদের মা সুস্থ আছেন। সিজার ছাড়াই তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই প্রসূতি।
চিকিৎসক আফরোজ সুলতানা আরও বলেন, ১ থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন ওই নারী।
সেখানকার চিকিৎসক বলেছেন, আমা’দের এখানে একসঙ্গে তিন সন্তানের নরমাল ডেলিভা’রি সম্ভব নয়। আপনারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে যান।
বুধবার সকালে প্রসবব্যথা শুরু হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে না গিয়ে বীরগঞ্জ উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন ওই নারী।
চিকিৎসক আফরোজ সুলতানা লুনা সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রসূতির পাশে থেকে একে একে তিন সন্তানের নরমাল ডেলিভা’রি সম্পন্ন করেন।
পারভীন বেগমের স্বামী শফিকুল ইস’লাম জানান, তার স্ত্রী’ অ’সুস্থবোধ করলে ৩১ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের গাইনি ওয়ার্ডের ১ নম্বর ইউনিটের ৪ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়।