আন্তর্জাতিক: কাজ না পেয়ে ক্ষো’ভে-দুঃখে আত্মহ’ত্যার ঘটনা অহরহই শোনা যায়। তবে কেউ চাকরি পাওয়ায় আত্মহ’ত্যা করেছেন, এ খবর কিছুটা অবিশ্বাস্যই বটে!
আর সেই উদ্ভট ঘটনাই ঘটেছে প্রতিবে’শী দেশ ভারতে। দীর্ঘদিন পর চাকরি পাওয়ায় ঈশ্বরের উদ্দেশে নি’জেকে ব’লি দিয়েছেন তামিলনাড়ুর এক যুবক।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আত্মঘা’তী ওই যু’বকের নাম নবীন। তিনি তামিলনাড়ুর কন্যাকু’মারী জে’লার নাগেরকোল এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, বয়স ৩২ হলেও কোনোভাবেই চা’করি জোগাড় করতে পারছিলেন না নবীন। একদিন তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, চা’করি পেলে নিজের জীবন ব’লি দেবেন এবং ঈ’শ্বরের কাছে চলে যাবেন।
মৃ’ত্যুর আগে লেখা একটি সু’ইসাইড নো’টে নবীন বলে গেছেন, তিনি ঈ’শ্বরের কাছে করা ওয়াদা র’ক্ষায় নিজের জীবন বিস’র্জন দিচ্ছেন। ন’বীনের আত্মহ’ত্যার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে
যায় রেলওয়ে পুলিশ এবং ম’রদেহ উ’দ্ধার করে। তার মৃ’ত্যুর পেছনে আর কোনো কারণ আছে কি না তা খ’তিয়ে দেখছে স্থানীয় পুলিশ। সূত্রঃ জাগো নিউজ
চিকিৎসক বললেন অসম্ভব, তার পরেও চমৎকার ঘটনা ঘটে গেল!
দিনাজপুরে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন পারভীন বেগম (৩০) নামের এক নারী। নরমাল ডেলিভা’রির মাধ্যমে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই নারী।
দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লের গাইনি ওয়ার্ডে তিন সন্তানের নরমাল ডেলিভা’রি করানো সম্ভব না হলেও বীরগঞ্জ উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক এটি সম্ভব করেছেন।
পারভীন বেগম বীরগঞ্জ উপজে’লার ৫ নম্বর সুজালপুর ইউনিয়নের বর্ষা চেঙ্গাইক্ষেত্র গ্রামের কৃষক মো. শফিকুল ইস’লামের স্ত্রী’।বুধবার (০৪ নভেম্বর)
বীরগঞ্জ উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। নরমাল ডেলিভা’রির মাধ্যমে দুই ছে’লে ও এক মে’য়েসন্তানের জন্ম দেন এই মা।
একসঙ্গে তিন সন্তান জন্ম দেয়ায় উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসূতির আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশী ও উৎসুক জনতা শি’শুদের দেখতে ভিড় করেন।
উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মক’র্তা চিকিৎসক আফরোজ সুলতানা লুনা বলেন, তিন সন্তানের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। তাদের মা সুস্থ আছেন। সিজার ছাড়াই তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ওই প্রসূতি।
চিকিৎসক আফরোজ সুলতানা আরও বলেন, ১ থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন ওই নারী।
সেখানকার চিকিৎসক বলেছেন, আমা’দের এখানে একসঙ্গে তিন সন্তানের নরমাল ডেলিভা’রি সম্ভব নয়। আপনারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে যান।
বুধবার সকালে প্রসবব্যথা শুরু হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে না গিয়ে বীরগঞ্জ উপজে’লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন ওই নারী।
চিকিৎসক আফরোজ সুলতানা লুনা সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রসূতির পাশে থেকে একে একে তিন সন্তানের নরমাল ডেলিভা’রি সম্পন্ন করেন।
পারভীন বেগমের স্বামী শফিকুল ইস’লাম জানান, তার স্ত্রী’ অ’সুস্থবোধ করলে ৩১ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের গাইনি ওয়ার্ডের ১ নম্বর ইউনিটের ৪ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়।