আন্তর্জাতিকঃ ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মা’র্কিন ভাইস প্রে’সিডেন্ট ছিলে জো বাইডেন। সে সময় সিরিয়া এবং লিবিয়া যু’দ্ধে জড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭৩ থেকে ২০০৯ সাল
পর্যন্ত মা’র্কিন সিনেটর ছিলেন তিনি। সার্বিয়া, আফগানিস্তান এবং ইরাক যু’দ্ধের পক্ষে অবস্থান নেন বাইডেন। যু’দ্ধে তার সমর্থনের কারণে প্রা’ণ হারায় প্রায় সাত লাখ মানুষ।
বাস্তুচ্যুত হয়, ঘরবাড়ি হারায় অনেকে। বর্তমানে ডোনাল্ড ট্রা’ম্পকে হা’রিয়ে মা’র্কিন প্রে’সিডেন্ট হিসেবে জয়ী হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন ডেমোক্রেট দলীয় জো বাইডেন।
যু’দ্ধবাজ এ রাজনৈতিকের বিধ্বং’সী কিছু পদক্ষেপ দেখা নেয়া যাক।ইরাক:২০০২ সালে প্রে’সিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ অ’ভিযোগ তুলেন, সাদ্দাম হোসেনের কাছে
২০০৩ সালের ২০ মার্চ ইরাকে আ’ক্রমণ করেন জর্জ ডব্লিউ বুশ। ওই যু’দ্ধ চলে ২০১১ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৮ বছর ৮ মাসের বেশি স্থায়ী ইরাক-মা’র্কিন যু’দ্ধ।
ক্ষমতাচ্যুত করা হয় বাথ পার্টিকে। ফাঁ’সি দেয়া হয় প্রে’সিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে। সাদ্দাম হোসেন এবং বাথ পার্টির পতনের মধ্য দিয়ে দেশটিতে বিভিন্ন বি’দ্রোহীগোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠে।
জন্ম নেয় জ’ঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদা, ইরাক। পরবর্তীতে গঠন করা হয় শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ গণতান্ত্রিক স’রকার। ২০১১ সালে ইরাক ছাড়ে মা’র্কিন বাহিনী। বাড়তে থাকে ইরানের আধিপত্য।
চ’রমে পৌঁছায় বি’দ্রোহীদের মধ্যে সং’ঘাত। আল কায়েদার উত্তরসূরি হিসেবে জন্ম নেয় জ’ঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড লেভেন্ত।
২০১৩ সালে সং’ঘাত তীব্রতর হয়ে উঠে। ২০১৪ সালে ইরাকে ফেরত আসে মা’র্কিন বাহিনী। ২০১৭ সালে পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হয়। তারপর থেকে থেমে থেমে সেখানে সহিং’সতা চলছে।
ইরাকি বাহিনী প্রশিক্ষণের জন্য দেশটিতে মা’র্কিন বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য রয়েছে। ওই যু’দ্ধে হ’তাহতের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন পরিসংখ্যান রয়েছে। ২০০৬ সালে লেনসেট স্ট্যাডি জানায়,
৬ লাখ ৫৫ হাজার মানুষ নি’হত হয়েছে। মা’র্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১ লাখ ৮৫ হাজার থেকে ২ লাখ ৮ হাজার
মানুষ নি’হত হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রকৃত ক্ষয়ক্ষ’তি সংখ্যা জানা যায়নি। ইরাকে পাওয়া যায়নি গণবিধ্বং’সী কোনো অ’স্ত্র।২০০৫-এ এক সাক্ষাৎকারে ২০০২ সালে
ইরাক যু’দ্ধের পক্ষে দেয়া ভোট দেয়ার বি’ষয় জানতে চাওয়া হলে বাইডেন বলেন, এটি তার ভু’ল সিদ্ধান্তছিলসিরিয়া:২০১১ সালে সিরিয়ায় স’রকারবি’রোধী বি’ক্ষো’ভ শুরু হয়।
জানানো হয়, প্রে’সিডেন্ট বাশার আসাদের পদত্যাগ, রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংস্কারের দাবি। স’রকার বি’ক্ষো’ভে বলপ্রয়োগ করলে বি’ক্ষো’ভ ছড়িয়ে পড়ে।
সং’ঘাতে জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী, বিদেশি শক্তি এবং স’ন্ত্রাসী সংগঠন। ২০১১ সাল থেকে আসাদকে সরে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালে ওবামা প্রশাসন সিরিয়ায় আইএসের বি’রুদ্ধে বিমান হা’মলা শুরু করে।