মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস কলেজে পড়াকালীন গাঁজা খেতেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ‘দ্য ব্রেকফাস্ট ক্লাব রেডিও শো’ নামে এক রেডিও অনুষ্ঠানে তিনি নিজেই এ কথা স্বীকার করেন।
অনুষ্ঠানে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি কি কখনো গাঁজা খেয়েছেন? এর জবাবে কমলা বলেন, ‘আমার পরিবারের অর্ধেক এসেছে জ্যামাইকা থেকে, আপনি আমার সঙ্গে দুষ্টুমি করছেন না তো’?
তিনি আরো বলেন, ‘আমি গাঁজা খেয়েছি’। এরপরই তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমি একটা গোপন খবর ফাঁস করে দিলাম’।
কমলা বলেন, ডেমোক্র্যাটদের অনেকেই চান ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে গাঁজা বৈধ হোক। গাঁজা তাদের উৎফুল্ল করে। আর আমরা চাই পৃথিবী উৎফুল্ল থাকুক।
কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার মা বায়োমেডিক্যাল গবেষক ভারতীয় বংশোদ্ভুত শ্যামলা গোপালান হ্যারিস এবং জ্যামাইকান অর্থনীতিবিদ ডোনাল্ড হ্যারিসের ঘরে ১৯৬৪ সালে জন্ম হয়।
নিষেধাজ্ঞা শিথিলে চিকিৎসা নিতে ভারত ছুটছেন বাংলাদেশিরা
দীর্ঘ ৭ মাস প্রতীক্ষার পর অবশেষে ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা শিথিল করায় মেডিকেল ভিসা নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারত ছুটছেন বাংলাদেশি যাত্রীরা। থেমে নেই ব্যবসায়ীরাও। তবে টুরিস্ট ভিসা না ছাড়ায় ভ্রমণ পিপাসুরা আপাতত যাতায়াত করতে পারছেন না।
গত ০১ নভেম্বর থেকে ০৭ নভেম্বর পর্যন্ত এক সপ্তাহে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন ৩০৪৩ জন দেশি-বিদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত সরকার গত ১৩ মার্চ বাংলাদেশিদের ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। পরবর্তীতে একই নিষেধাজ্ঞায় যাতায়াত বন্ধ হয় ভারতীয়দের। এছাড়া এ নিষেধাজ্ঞায় প্রবেশ বন্ধ হয় বিদেশিদেরও।
এদিকে, এ পথে যারা ভারত যাতায়াত করছেন এদের অধিকাংশের রয়েছে মেডিকেল ভিসা। কিন্তু নতুন ভিসা পেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তবে বিজনেস ভিসার কোনো জটিলতা নেই।
পুরানো ভিসায় ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করতে পারছেন। এছাড়া পুরনো ভিসায় যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরাও। ভারতীয়রা বিজনেস ও ইমপ্লোয়মেন্ট ভিসায় আসছেন বাংলাদেশে।
চিকিৎসার উদ্দেশে ভারতগামী বাংলাদেশি কয়েকজন পাসপোর্টধারী যাত্রী জানান, ক্যানসার, হৃদরোগসহ বড় বড় রোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।
কিন্তু করোনার কারণে গত ৭ মাস যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় তারা এতদিন ভারতে চিকিৎসা নিতে পারেনি। এখন সুযোগ পেয়ে নতুন ভিসায় ভারতে যাচ্ছেন। তবে ভিসা ৩ মাস পেলেও মাত্র একবার ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন।
এতে খুব একটা লাভ হবে না। চিকিৎসা শেষ করতে লম্বা সময় সেখানে থাকতে গেলে খরচ তিনগুণ বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে যদি পূর্বের মতো এক ভিসায় ৩ বার যাতায়াতের সুযোগ বা পুরানো ভিসা সচল হতো অনেকভাবে উপকৃত হতেন রোগীরা।
এদিকে ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া কয়েকজন রোগীর স্বজনরা বলেন, দেশে ভালো চিকিৎসা সেবা না পেয়ে প্রতিবছর প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি ভারতে যাচ্ছেন।