গণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জুড়ে ভেসে চলছে ছাত্র-শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ স্থিরচিত্র। বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত ১৯ মে থেকেই ভেসে বেড়াচ্ছে
গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিক্যুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষিকা মাহাবুবা খাতুন এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিস আফ্রিদি’র অন্তরঙ্গ স্থিরচিত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকার দাবী একটা মহল এই ধরনের বি’ভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে। ওই শিক্ষিকা দাবী করেন, আমি এবং আমা’র স্বামী (নাফিসুর রহমান)
২০১৫ সাল থেকেই পূর্ব পরিচিত। আমা’র স্বামী একজন ডেন্টিস্ট, উনি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধি করার জন্যই গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
বিভাগের শিক্ষককে কেন সন্দেহ করেছেন সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবা খাতুন জানান, কিছুদিন আগে আমা’র সাথে
ওই জৈনক শিক্ষকের অর্থনৈতিক একটা সম্যাসা হয়েছিল। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে সুদিন আসলে তিনি কাউকেই ছাড়বেন না।
আমা’র এক ছেলে রয়েছে। তার কথা এবং আমা’র সম্মানবোধের কথা চিন্তা করে আমি নাফিসুর রহমানকে গত ৩/৫/১৮ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আইনজীবী তাসলিম আহম্মদ এর মাধ্যমে বিয়ে করেছি।
আমা’র কাছে তার ডকুমেন্ট আছে, কাবিন আছে। কিন্তু কে বা কারা নাফিসের মোবাইল থেকে আমা’দের পারিবারিকভাবে তোলা ছবি সংগ্রহ করে আমাকে সমাজিকভাবে ছোট করতে তা ভাইরাল করছে এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে নাফিসুর রহমান বলেন, আমা’দের পরিচিত কেউ এই ষড়যন্ত্র করেছে। আম’রা বিয়ে করে একই সাথে বসবাস করছি। বর্তমানে সাভারের ব্যাংক কলোনিতে এক সাথে
আমা’দের দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। যারা এই ষড়যন্ত্র করেছে আম’রা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাদের নামে এক দুদিনের মধে থা’নায় জিডি করবো।
শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচিত এমন উস্কানিমূলক তথ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হচ্ছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচিত এই বিষয়ে জরুরি প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা।
রাজশাহী’র মেয়ে মাহবুবা খাতুন সাভারে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার ৮ বছর বয়সী একটি ছেলে-সন্তান রয়েছে। নাফিসের গ্রামের বাড়িও রাজশাহী। সে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ৩য় বর্ষ (৫ম সেমিস্টার) এর শিক্ষার্থী।
সে পেশাগতভাবে একজন ডেন্টিস্ট। এমন অপপ্রচারের কারণে গণ বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।