বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে ভারতের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে ভারত সরাসরি জড়িত।’
শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সরকার যেহেতু নির্বাচিত নয়, এ জন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ে পরোয়া করে না। তারা কথা বলে এক, আর কাজ করে আরেক। এই পুঁজিতন্ত্রের সঙ্গে যোগ হয়েছে ভারতীয় চক্রান্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে গো-মন্ত্রণালয় সৃষ্টি হয়, আর আমাদের সরকার ঘাস চাষ শিখতে বিদেশে পাঠায়। কারণ ভারতকে প্রভু মনে করা হয়।’
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, লেবার পার্টির সাংগঠনিক
সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুব মিশনের সভাপতি মহিবুল্লাহ মেহেদি, ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মিলন প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের শাস্তি না দেওয়ার প্রশ্নের উত্তর জিয়া দেননি
[প্রখ্যাত ভারতীয় সাংবাদিক, লেখক খুশবন্ত সিং ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। তিনি তাঁর সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত প্রকাশ না
করলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়ার বৈশিষ্ট্যের বৈপরীত্য উল্লেখ করেছেন। তিনি যখন জানতে চান বঙ্গবন্ধুর কোনো ঘাতককে কেন
গ্রেফতার করা বা শাস্তির বিধান করা হয়নি, তাঁর এ প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য না করে জিয়া অস্থিরভাবে হাতঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলেন।]
শেখ মুজিবুর রহমান এবং রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দুজনের সঙ্গেই আমার অনেকবার সাক্ষাৎ করার সৌভাগ্য হয়েছে। আমার জানামতে শুধু বাঙালি মুসলিম হওয়া ছাড়া
তাদের উভয়ের মধ্যে আর কোনো বিষয়ে মিল ছিল না। মুজিবের উচ্চতা ছিল একজন বাঙালির গড় উচ্চতার চেয়ে বেশি, তাঁর ছিল শরীর মাংসল এবং পরনে থাকত ঢিলেঢালা পোশাক।
জিয়া আকৃতিতে খাটো, তাঁর শরীর হালকা-পাতলা হলেও গঠন চাবুকের মতো শক্ত। একবার তাঁর দেহরক্ষী আমাকে বলেছিলেন, ‘তাঁর এক মুষ্টাঘাত কোনো মানুষকে বেহুঁশ করে ফেলতে পারে।’
মুজিব অত্যন্ত আন্তরিক, উষ্ণ-হৃদয়ের, বহির্মুখী এবং কথা বলতে অভ্যস্ত ছিলেন; জিয়া সুদূরের, গম্ভীর এবং অল্প কথা বলেন।
মুজিবের দফতর মুঘল আমলের প্রাচ্যদেশীয় দরবারের মতো : কয়েক ডজন মানুষ কার্পেটের ওপর, সোফা ও চেয়ারের ওপর ছড়িয়ে বসে থাকে,
দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকে। সারাক্ষণ একটির পর একটি টেলিফোন বাজে; তিনি ফোনে কথা বলার পাশাপাশি উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে যিনিই তাঁর মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম