মৃ’ত্যুর পরে মানুষের কি হয়? মৃ’ত্যু থেকে গিয়ে সেখান থেকে ফিরে আসতে কেমন লাগছে? প্রায় সকলেই এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চায়। আপনিও নিশ্চয়ই এরকম অনেক প্রতিবেদন শুনেছেন
যেখানে ব্যক্তি মৃ’ত্যুর মুখ থেকে গিয়েও জীবিত হয়ে ফিরে এসেছে। তবে কেউ কখনও পুরো সত্যটি বলেনি। এই খবর সম্পর্কে সন্দেহ ছিল।
তবে, আজ আম’রা আপনাকে একটি সত্য ঘটনা সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যাতে একজন ব্যক্তি ৪৫ মিনিটের জন্য মা’রা গিয়েছিলেন এবং তারপরে তিনি জীবিত হয়ে ফিরে আসেন।
এই গল্পটি 45 বছর বয়সী মাইকেল ন্যাপিনস্কির। তারা ৭ নভেম্বর মাউন্ট রেইনিয়ার ন্যাশনাল পার্কে শামুক খাচ্ছিল। অ’তিরিক্ত বরফের কারণে তিনি জ্ঞান হারিয়ে পৃথক হয়েছিলেননিজের থেকে।
প্রায় ৪৫ মিনিটের জন্য মা’রা যাওয়ার পরে, একদল চিকিৎসক তাকে একটি এক্সট্রাকোরোরিয়াল ঝিল্লি অক্সিজেনেশন (ইসিএমও) মেশিনে রাখেন।
এর পরে, চিকিত্সকরা তাকে জীবিত করে তোলার জন্য চেষ্টা করবে এই সিদ্ধান্ত নেন এবং তারা এতে আশ্চর্যরকমভাবে সফলও হন। মাইকেলও আবার সচেতন হন, আর চিকিৎসায় সাড়া দিতে শুরু করেন।
মাইকেল এর অসন্তুষ্ট আত্মীয়রাও এই অলৌকিক ঘটনাটি দেখে অবাক হয়েছিলেন। তাদের চোখের সামনে মৃ’ত একজন লোক জীবিত হয়ে এসেছিল।
মাইকেল তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে মৃ’ত্যুর পরে, তাঁর নিজের মুখ থেকেই সেই অভিজ্ঞতা বেরিয়ে আসে। তিনি বলেছিলেন যে ‘এই সমস্ত দুঃস্বপ্নের কম ছিল না।
চিকিত্সকরা আমাকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন এবং আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। এখন আমি এই জীবন অন্যকে উৎসর্গ করব।
আপনার তথ্যের জন্য জানিয়ে দিই, ইসিএমও একটি মেশিন যার মাধ্যমে হৃদয়-ফুসফুসের থেকে কার্বন ডাই অক্সাইডকে সরিয়ে দেয় শরীর থেকেএবং দেহে অক্সিজেন সমৃদ্ধ র’ক্তকে আবার টিস্যু প্রক্রিয়া গুলোতে প্রেরণ করা হয়।
এই প্রক্রিয়াটি খুব কঠিন, ব্যয়বহুল এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এ থেকে রোগীদের বেঁচে থাকার খুব কম সম্ভাবনা রয়েছে।
এটি বর্তমানে কোভিড -19 রোগীদের জন্যও ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি সাধারণত নবজাতকদের জন্য ব্যবহৃত হয় তবে এটি প্রাপ্তবয়স্কদেরও চেষ্টা করা যেতে পারে।