গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ চলমান নৈরাজ্য থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে সরকার আলেমদের ব্যবহার করছে।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বাস্থ্যখাতে নৈরাজ্য-দুর্নীতি বন্ধ ও ওষুধের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে লেবার পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আলেমদের উদ্দেশে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না। আলেমদের বলি,
অযথা বিতর্কে না জড়িয়ে এসবের জন্য মাঠে নামেন। সরকারের কিছু পয়সা পেয়ে তাদের কথায় নাইচেন না। সরকারের কথায় নাচলে আপনাদের ক্ষতি হবে।
মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক’রোনার মতো ভ’য়াবহ অ’ভিশাপের বি’রুদ্ধে ল’ড়াই করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে।
এমন এক শান্তিপূর্ণ সময়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর বি’রোধী নই, আমরা স’রকারবি’রোধী নই বলে অ’সহ্য রকমের ঔ’দ্ধত্য আর উ’গ্র জ’ঙ্গি ও হে’ফাজত
আর কিছু মো’ল্লাতন্ত্রের ধ’র্মান্ধ স্বাধীনতা ও মুক্তিযু’দ্ধের চেতনাবি’রোধী শ’ক্তি বে’য়াদবির সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ভু’লে গেছে একাত্তরে ই’সলামের নামে যু’দ্ধের ময়দানে গণহ’ত্যা,
গণধ”ণের ভ’য়াবহতা দেখিয়ে সা’ম্প্রদায়িক পাকিস্তান কতটা করুণভাবে পরাজিত হয়েছিল। তারা ভু’লে গেছে মুক্তিযু’দ্ধে বিজয়ী বাংলাদেশ অসা’ম্প্রদায়িক।
এখানে সব ধর্মের নাগরিক তাদের ধর্মচর্চা থেকে সমনাগরিক অধিকার ভোগের অধিকার রাখে। এখানে ই’সলামী জলসা, ওয়াজ মা’হফিল
যেমন হয় তেমনি হি’ন্দু ধর্মাবলম্বীরাও তাদের পূজা-পার্বণ মহোৎসব করেন। এখানে জুমার নামাজে যেমন মুসল্লির ঢল নামে তেমনি বাংলা নববর্ষে সকাল থেকে
মু’সলমানসহ সব ধর্মের মানুষের স্রোতে ভাসে দেশ। বাঙালি জাতীয়তাবাদ মাথা তুলে দাঁড়ায়। স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস ছাড়াও জাতীয় শো’ক দিবসেও কম মানুষের স্রোত নামেনি।
এমন অবস্থায় উ’গ্র ধর্ম ব্যবসায়ী বাবুনগরী বঙ্গবন্ধুর ভা’স্কর্য ছিঁ’ড়ে নামিয়ে ফেলবেন। মামুনুল হক ভে’ঙে গুঁ’ড়িয়ে দে’বেন বলে যে উ’গ্র হু’ঙ্কার দিয়েছেন তা ব’রদাস্ত বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় বিশ্বাসী জনগণ করবেন না।
যারা আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণকে ব্য’ঙ্গ করে মূর্তি নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না বলে ঔ’দ্ধত্য দেখাচ্ছেন তা মুক্তিযু’দ্ধ সংবিধান আইন প’রিপন্থী।