বাজার ওয়েবসাইটে প্র’কাশিত একটি প্র’তিবেদনের প্রেক্ষিতে লেখক তসলিমা নাসরিন ফেসবুক পেজে তাঁর কিছু ভাবনা পোস্ট ক’রেছেন। এখানে সেটি হুবহু তুলে ধ’রা হল।হ’ঠাৎ চোখে পড়ল বাজারের একটি খবর।
৭ মা’র্চে ছাপা হওয়া খবর। পরদিন ৮ মা’র্চ। না’রীদিবস। তা খবরটার শিরোনাম কী? শিরোনাম ‘ম’হিলাদের গো’পনাঙ্গের দুর্গন্ধের ৮ টি কারণ’। না’রীদিবসে না’রীদের জন্য পু’রুষের প্রতিষ্ঠান থেকে চমৎকার এক উপহার বটে!
সেই আদিকাল থেকে পত্রিকায়-ম্যাগাজিনে প’ড়ে আসছি, রেডিও টিভিতে শুনে আসছি ম’হিলাদের গো’পনাঙ্গে নাকি বি’ষম দুর্গন্ধ। এই দুর্গন্ধ দূ’র ক’রতে পুরো মানবজাতি আদা জল খেয়ে লে’গেছে।
কেউ শুনেছে পু’রুষাঙ্গের দুর্গন্ধের কথা? আমি তো এ যাবৎ যত পু’রুষাঙ্গ দেখেছি, সবগুলো থেকে দুর্গন্ধ বেরিয়েছে। দুর্গন্ধে আমা’র বমি আসে আসে অবস্থা হয়েছে।
অভ্যাসকেই দায়ী করা হচ্ছে। তবে করো’না মহামা’রির মধ্যে চীনে বাদুড়, সাপ, প্যাঙ্গোলিন, গিরগিটি ইত্যাদি খাওয়া অনেকটাই কমেছে। গত এপ্রিলে দেশটির
শেনজেন শহরে কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধও হয়েছে। তবে এসবেও আ’ট’কায়নি ইউলিন শহরের মেলা।পশুপ্রে’মীদের বিশ্বা’স,
এই বছরের পরেই হয়তো বন্ধ হবে চীনে কুকুর খাওয়ার এই উৎসব। চীনা প্রশাসন বন্যপ্রা’ণী খাওয়া রোধে আইন করছে বলে জানা গেছে। পোষ্য প্রা’ণীদের
রক্ষায়ও নতুন আইন আসতে পারে। ফলে এরপরে হয়তো কুকুরের প্রতি এমন নি’র্মমতার মেলা বন্ধ সম্ভব হবে।চীনে পশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করে
হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির মুখপাত্র পিটার লি বলেন, তার প্রত্যাশা, প্রা’ণীদের কথা ভেবে না হলেও শুধু নিজেদের স্বাস্থ্যের কথা মা’থায় রেখে এমন অবস্থার পরিবর্তন হবে।
তিনি জানান, চীনে প্রতি বছর এক কোটি কুকুর ও ৪০ লাখ বিড়াল মা’রা হয় ব্যবসার জন্য।এছাড়া মহামা’রির মধ্যেই কুকুর ও কুকুরের মাংস
কেনার জন্য স্থানীয় বাজার-রেস্তোঁরাগুলোতে যেভাবে ভিড় হচ্ছে তা বর্তমান পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের জন্য অ’ত্যন্ত বিপজ্জনক। ফলে এটি বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।