আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
মঙ্গলবার দুপুরে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।দীপু মনি বলেন, যদি করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ক্লাস হতে পারে।
এ সময়ে পিছিয়ে পড়া সিলেবাস শেষ করা হতে পারে।সিলেবাস ছোট করে আগামী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সিলেবাস ছোট করার কাজ চলছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বিস্তারিত জানানো হবে।মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে
এছাড়া এইচএসসির ফল ঘোষণার জন্য বিশেষ অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। ফলাফল প্রস্তুতের জন্য ইতোমধ্যে ৮ সদস্যের পরামর্শক কমিটি টিমে কাজ করছে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রাখা হয় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এর পর বেশ কয়েক দফায় বাড়ানো হয় ছুটি।সর্বশেষ আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছে সরকার। প্রতিবছর ১ জানুয়ারির বই উৎসব সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
তবে চলমান করোনা পরিস্থিতির এবছর সারা দেশে বই উৎসব হচ্ছে না।এর আগে গত ২৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন,
জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।তবে এসএসসি পরীক্ষা যেহেতু বেশি গুরুত্বপূর্ণ,
তাই এ ফল থেকে ৭৫ শতাংশ এবং জেএসসির ফল থেকে ২৫ শতাংশ নম্বরের ভিত্তিতে ফল প্রকাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আর ডিসেম্বরের মধ্যেই এইচএসসির ফল প্রকাশ করার কথা।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে ওই সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন,
করোনাভাইরাসের প্রকোপ না কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে না।শীতের প্রকোপ সাধারণত মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত থাকে।
এর মধ্যে ভর্তি-প্রক্রিয়াও শেষ হয়ে যাবে।এরপর যদি করোনার প্রকোপ কমে যায়, তাহলে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য স্বল্প পরিসরে হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
তবে সব শ্রেণির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে আরও কিছু সময় দেরি হতে পারে।