সারাদেশে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে বলে সুখবর দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার প্রতি সরকার সবচেয়ে বেশি নজর দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষার মান উন্নয়নে একযোগে কাজ করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই হলো সোনার বাংলায় সোনার মানুষ গড়ার কারখানা।
রোববার মাদারীপুরের শি’বচর চৌধুরী ফাতেমা বেগম পৌর অডিটোরিয়ামে উপজে’লা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অ’তিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আম’রা পুরো কারিকুলাম ও পাঠ্য বই নতুন আঙ্গিকে করছি। আম’রা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার মান আরো উন্নত করার চেষ্টা করছি।
সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জে’লা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে প্রমুখ।
শি’বচর উপজে’লা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বীর মুক্তিযো’দ্ধা শাজাহান মোল্লাকে সভাপতি ও ডা. মো. সেলিম মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা দেন
জে’লা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা।
মুসলমানদের সুশৃঙ্খল জীবন দেখে মুসলিম হই
যুক্তরাষ্ট্রের ছোট্ট শহর নিউ হ্যাম্পশায়ারে আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। আমার পরিবার ছিল খুবই দরিদ্র। মা আমাদের খাওয়ার সময় চার্চে পাঠিয়ে দিতেন।
কেননা চার্চ দরিদ্র মানুষকে খাবার দিত। এভাবে চার্চ আমার জীবনের অংশ হয়ে ওঠে। মা-বাবার অধীনে একটি শহরে বসবাস, দারিদ্র্য, একঘেয়ে কৈশোর জীবন আমার দৃষ্টি ছোট করে ফেলেছিল।
ফলে মাত্র ১৫ বছর বয়সে আমি গর্ভবতী হই এবং ১৯ বছর বয়সে দুই সন্তানের মা। মেয়েরা ছিল আমার জন্য আশীর্বাদ।
আমি মন্দ পথের পথিক ছিলাম। তাদের জন্য আমি সুপথে ফিরে এলাম এবং তাদের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করলাম।
আমি চাচ্ছিলাম, আমি যেভাবে বড় হয়েছি আমার মেয়ে তার চেয়ে ভালো জীবন লাভ করুক। ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর আমি কনজারভেটিভ রাজনীতির সঙ্গে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়ি।
দীর্ঘ সময় আমি ফক্স নিউজ দেখে এবং রেডিওর আলোচনা শুনে কাটিয়েছি। কেউ আমার সামনে ইসলামের পক্ষে কথা বললে,
আমি তার সঙ্গে এমনভাবে ঝগড়ায় লিপ্ত হতাম যেন আমি তার চেয়ে অনেক বেশি জানি।এরপর সময় খুব দ্রুত চলে গেল।
মার মেয়েরা স্নাতক সম্পন্ন করার পর আমাকে ছেড়ে চলে যায়। ১৮-১৯ বছর বয়সে তারা চাকরি খুঁজে নিল এবং পৃথক বাসায় উঠল।
অন্যদিকে বড় একটি ঘরে আমি একা হয়ে যাই, সব কাজ একা করতে থাকি এবং অনুভব করি সব কিছু আমাকে ছেড়ে যাচ্ছে।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে আমি জানতাম কঠোর পরিশ্রম, ঘরে ফেরা, রাতের খাবার গ্রহণ এবং তারপর সব শান্ত। শূন্য ঘরে আমার সময়টি ছিল ভীষণ অন্ধকার।
আমি নিজেকে একজন মা না ভেবে, নিছক একজন ব্যক্তি ভাবার চেষ্টা করলাম এবং গভীর হতাশায় ভুগতে লাগলাম। হতাশার মধ্যেই চাকরি হারালাম।