আমাদের সমাজে কিছু মানুষ আছে যারা একান্ত নিজেদের স্বার্থের জন্যই বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড করে থাকে যেগুলো মানুষের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়
এবং রাতারাতি অর্থ-বিত্তশালী বনে যাওয়ার তাগিদে তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে মানুষের ক্ষতি করে তারা বড় হতে চায় এবং মানুষকে বোকা বানিয়ে তারা
অর্থ বিত্ত সবকিছুই আছে সেও এ ধরনের কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত এটা আসলেই বিশ্বাসযোগ্য নয় তবে এমনটাই ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরীতে
কুলসুম নামের এই নারীর স্বামী সৌদি আরব এবং তার ছেলে দুবাই প্রবাসী। নিজে বহুতল ভবনের মালিক। ব্যাপক সহায়-সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তার পেশা গৃহকর্মী।
তার হেফাজত থেকে চুরির ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং চোরাই স্বর্ণ বিক্রির ৩ লাখ ৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর ঘাটফরহাদবেগ এলাকার ফারহানুল হক মিশলু নামের এক নারীর বাসায় চুরির ঘটনা তদন্তে কুনসুর সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ।
আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) নিজের কার্যালয়ে এ ঘটনার বিস্তারিত জানান সিএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।
পুলিশ হেফাজতে থাকা মলিন বেশের কুলসুমকে দেখে বোঝার উপায় নেই এটা তার ছদ্মবেশ। মূলত তিনি অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের নারী।
স্বামী-সন্তান বিদেশে থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা নাম-পরিচয় দিয়ে তিনি গৃহকর্মীর কাজ নেন বিত্তশালীদের বাড়িতে। এরপর সুযোগ বুঝে চুরির কাজটি সেরে ফেলে সময়মতো কেটেও পড়েন তিনি।
কুনসুর বিরু’দ্ধে অভিযোগ, তিনি মিশলুর বাসা থেকে ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২ লাখ টাকা চুরি করেন।
এ ঘটনায় গত ৯ ডিসেম্বর কুনসুসহ অ’জ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার
এসআই মো. আইয়ুব উদ্দিন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ১৭ ডিসেম্বর গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার নোয়ারবিলা এলাকার থেকে আসামি কুনসুকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারের পর কুনসু পুলিশকে জানান, তিনি প্রকৃত নাম গোপন করে মিশলুর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেন। জেরার একপর্যায়ে কুনসু তার বেডরুমে খাটের নিচে মিশলুর
বাসা থেকে চুরি করা স্বর্ণলংকার রাখার কথা স্বীকার করেন। এর পর নিজেই চুরির ২০ ভরি ১২ আনা ৪ রত্তি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১ লাখ ৪০ টাকা পুলিশকে বের করে দেন।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গ্রেপ্তারের পর গত ১৮ ডিসেম্বর ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ডে এনে জেরা করলে মিশলুর বাসায় চুরির বিষয়ে কুনসু তথ্য দেন।
ওইদিন মামলার বাদী ফারহানুল হক মিশলু ও তার খালাতো ভাই আমজাদ হোসেন ঘুমে থাকাবস্থায় কুনসু সুযোগ বুঝে আলমারি খুলে স্বর্ণালংকারসহ নগদ ২ লাখ টাকা চুরি করে পালিয়ে যান।