সাধারণত খাবারে ভিটামিন এবং মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক থাকলে শরীরে এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেম সক্রিয় থাকে।আর তা শরীরে এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের তৈরি হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
এস্ট্রোজেন এবং পারফরমেন্সের জন্য জরুরি।তাই যৌ’ন শক্তি শুধুমাত্র প্রাকৃতিকভাবেই পাওয়া সম্ভব। আজকাল অনলাইনে,
পথে-ঘাটে, হাট-বাজারে যে গল্প বা ঔষধ পাওয়া যায় সেইগুলির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি দেখে তবেই কেন উচিত।ভেজালময় জীবনে কি খেলে বাড়বে যৌ’ন কামনা আসুন একবার চোখ বুলিয়ে দেখে নেই।
খেজুর প্রতিদিন প্রাতরাশ খাওয়ার সময় খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। মাখনের সাথে খেজুর মিলিয়ে খেলে যৌ’নশক্তি বৃদ্ধি পায়,
মধু মাখন ও মধু একত্রে মিশ্রণ করে খেলে Pleurisy তথা বক্ষাবরক ঝিল্লি প্রদাহ রোগের উপকার হয় এবং শরীর মোটা করে। খাঁটি মধুতে পাওয়ারের সকল উপাদান বিদ্যমান।
এছাড়াও সকালে খালি পেটে জিহ্বা দ্বারা মধু চেটে খেলে কফ দূর হয়, পাকস্থলী পরিস্কার হয়, দেহের অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ বের হয়, গ্রন্থ খুলে দেয়, পাকস্থলী স্বাভাবিক হয়ে যায়,
মস্তিস্ক শক্তি লাভ করে, স্বাভাবিক তাপে শক্তি আসে, রতি শক্তি বৃদ্ধি হয়, মূত্রথলির পাথর দূর করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়, গ্যাস নির্গত হয় ও ক্ষুধা বাড়ায়। প্যারালাইসিসের জন্যও মধু উপকারি।
কলিজা যৌ’ন জীবনে খাদ্য হিসেবে কলিজার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, কলিজায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে।
আর এই জিঙ্ক শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ জিঙ্ক শরীরে না থাকলে পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসৃত হয় না।
পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে যে হরমোন নিঃসৃত হয় তা টেস্টোস্টেরন তৈরি হওয়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া জিঙ্ক এর কারণে আরোমেটেস এনজাইম নিঃসৃত হয়।
এই এনজাইমটি অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরোনকে এস্ট্রোজেনে পরিণত হতে সাহায্য করে। এস্ট্রোজেনও যৌ’নতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি হরমোন।
রসুন ডাক্তারদের মতে রসুনে অনেক উপকারিতা রয়েছে। রসুন ফোড়া ভালো করে, ঋতুস্রাব চালু করে, পেশাব জারী/স্বাভাবিক করে,
পাকস্থলী থেকে গ্যাস নির্গত করে, নি`স্তেজ লোকদের মধ্যে যৌ’ন ক্ষমতা সৃষ্টি করে, বী`র্য বৃদ্ধি করে, গরম স্বভাব লোকদের বী`র্য গাঢ় করে,
পাকস্থলী ও গ্রন্থর ব্যাথার উপকার সাধন, এ্যাজমা এবং কাঁপুনি রোগেও উপকার সাধন করে। তবে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অধিক রসুন ব্যাবহার ক্ষতিকর।
সব্জির বীজ কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, শিম বীজ, ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে।
হরমোন গুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শিমের বীচিতে প্রচুর ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে।
এটা আপনার যৌ’ন ইচ্ছা এবং যৌ’ন সামর্থ্য বাড়ায়। জাপানিরা যৌ’ন ইচ্ছা বাড়ানোর জন্য খাবারে প্রচুর শিমের বীচি ব্যবহার করে থাকে।
ওটমিল এবং কুমড়ার বীচির মত সূর্যমুখীর বীজ হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে আপনার যৌ’ন আকাঙ্ক্ষাও বাড়ে।