ভারতের কেরালায় সম্প্রতি এক দম্পতি বিবাহ পরবর্তী ফটোশুট করে আলোচনায় এসেছেন। বলা যেতে পারে সমালোচনার কবলেও পড়েছেন।
এই সময়টাতে বিয়ের আগে ফটোশুট একটি প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বি’ষয়টি এই প্রজ’ন্ম উপভোগ করছে। তাই ফটোশুটকে নিত্য নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দর্শনীয় করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।
তবে ভিন্ন ধারায় বিয়ের পরবর্তী এমনই ফটোশুট করতে গিয়েই আলোচনায় এসেছেন ঐ দম্পতি কেরালার রিশি ও লক্ষ্মী চলতি গত সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখ বিয়ে করেন।
কিন্তু ক’রোনার কারণে বিয়ের কোনো আয়োজন করেননি, হয়নি কোনো অনুষ্ঠান। তবে এই অনুষ্ঠান না করার ফলে নতুন এই আইডিয়া মাথায় আসে।
এরকম ভাবে কেন ফটোশুট করা হলো? ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে রিশি ও লক্ষ্মী বলেন, ‘আমরা তো বিয়ের ছবি তোলা বলতেই শাড়ি ও বিয়ের পোশাক পরে ছবি তোলাই বুঝি।
বুঝি যে মন্দিরে ছবি তুলতে হবে। সবই ঠিক আছে, তবে আমাদের মনে আমরা একটু আলাদা কিছু করি যাতে করে মানুষ মনে রাখে।
এজন্যই আমরা এভাবে ফটোশুট করলাম। এটা আমাদের চিন্তার প্রতিফলন।’নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি গুলো নিয়ে তর্ক বিতর্কে মেতে ওঠেন।
অনেকেই দাবি করেন ছবিগুলো অ’শ্লীল। কিন্তু রিশি ও লক্ষ্মী তা মানতে নারাজ।তবে এই দম্পতি বলেন, ‘আমাদের শ’রীরে এমন কোনও অংশ দেখা যাচ্ছে না যাতে বোঝায় আমরা ন’গ্ন।
এর চেয়েও বেশি খা’রাপ পোশাকে লোকজন ফটোশুট করে। তবে ছবিগুলো ফেসবুকে পোস্ট করার সময় থেকে আমি ভ’য়াবহ মন্তব্যের ঝড়ের কবলে পড়েছি।
প্রচুর অশালীন মন্তব্য করা হয়েছে ফেসবুকে। অথচ একই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছি সেখানে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য নেই।’
নেটিজেনদের অ’শ্লীলতার অ’ভিযোগ প্রস’ঙ্গে লক্ষ্মী বলেন, ‘অ’শ্লীলতার যে কথা বলা হচ্ছে তা কোন অর্থে? ছবিতে আমার পা ও গ’লা দেখা যাচ্ছে, এটাই কি অ’শ্লীলতা?
আমরা যেভাবে ফটোশুট করেছি, তার অর্থ এই নয় যে আমাদের শ’রীরে কিচ্ছু নেই। আমাদের পরিধানে শর্টস (সংক্ষি’প্ত পোশাক) রয়েছে।
ছবিতে আমাদের পা ও গ’লা দেখা যাচ্ছে- এটা অ’শ্লীলতা প্রমাণ করে না। আর কে কী বলল তাতে আমাদের যায় আসে না।
আমাদের পরিবারের সাথে কথা হয়েছে তাদের বোঝাতে স’ক্ষম হয়েছি যে, আমরা সলে কী করেছি।’লক্ষ্মী সি’দ্ধান্ত নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার এইসব ব্যক্তিদের জন্য ফেসবুক থেকে ছবি সরাবেন না,
কোনো ট্রলের উত্তর দেবেন না এমনকী কোনো আইনি পদক্ষেপও নেবেন না। তিনি বলেন, ‘আমার যেমন ই’চ্ছা তেমন ছবি তুলবো।
এই নিয়ে কে কি বলল মাথা ঘামাবো না। আইনি পদক্ষেপ নিতে হলেও আমার অনেক সময় চলে যাবে, আমি এতো