মাই নেইম ইজ শিলা, শিলা কী জোয়ানি… হিন্দি গান বাজছে। তালে তালে নাচছেন এক তরুণী। তার পড়নে হেজাব।
শরীর থেকে একের পর এক বস্ত্র খুলছেন তিনি। ছুঁড়ে মারছেন আর মিষ্টি হাসি দিচ্ছেন।কড়া লাল লিপিস্টিকে রাঙা ঠোঁট দুটি ফুলের মতো পাপড়ি মেলছে যেনো।
দুটি আঙুল সোজা করে বন্দুকের নিশানা ঠিক করছেন। যেনো এক্ষুণি কাউকে গুলি করবেন। শিকারী দু’চোখে চরম দুষ্টুমি। চোখ টিপছেন, মুচকি হাসছেন।
এই শীতের রাতে তরুণীর উত্তাপ ছড়ানো কাণ্ড দেখতে কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজির সহস্র মানুষ। একের পর এক বস্ত্র খুলতে খুলতে তরুণীর শরীরে অবশিষ্ট দুটি পোশাক।
হ্যাঁ কথাগুলো বলছিলেন ফেসবুক লাইভে। দশর্ক তা দেখছিলেন আর লাভ, লাইক রিয়েক্ট দিচ্ছিলেন। অনুনয়ন করে কমেন্ট করছিলেন অনেকে,
কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না: হেফাজত মহাসচিব
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের (ভারপ্রাপ্ত) মহাসচিব ও ঢাকা খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেছেন,
কওমী মাদরাসা কুরআন হাদীস শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র। দ্বীন রক্ষার মজবুত দূর্গ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিষ্ঠিত মক্কার দারে
আরকম ও মদীনার দারুচ্ছুফফার অংশ হলো কওমী মাদরাসা। কওমী মাদরাসার ইতিহাস, সোনালী ইতিহাস।গতকাল ১৫ জানুয়ারী শনিবার বাদ মাগরিব
দেশের জনপ্রিয় ওয়ায়েজ মাওলানা আব্দুল খালেক শরীয়তপুরী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মারকাজে তালীমুস সুন্নাহ’ র বার্ষিক ইসলাহী মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
হেফাজত মহাসচিব বলেন, ইসলাম মুসলমান, দেশ ও জাতীর কল্যাণে কওমী মাদরাসা এবং ওলামায়ে কওমীয়ার অবদান অনস্বীকার্য।
কওমী মাদরাসায় পড়ে কুরআন-সুন্নাহর সঠিক জ্ঞান অর্জন করে দ্বীনের ধারক-বাহক, দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক তৈরী হয়।
সম্প্রতি কওমী মাদরাসা ও হক্কানি ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্ট- দ্বীন প্রচারের অন্যতম মাধ্যম কওমী মাদরাসা ও
ওয়াজ মাহফিলের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী আরো বলেন, কওমী মাদরাসা বাংলাদেশের জন্য রহমত স্বরূপ।
বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনা ভাইরাসে বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা গেছে। সুপার পাওয়ার, উন্নত বহু রাষ্ট্রও করোনায় লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
তবে আল্লাহ তায়া’লার অশেষ রহমতে বাংলাদেশে করোনায় তেমন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। কওমী মাদরাসায় হিফজখানার কোমলমতি
শিশুরা গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে ওজু করে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে, কুরআন তিলাওয়াত করে, জিকির আযকার করে।
এর বরকতেই আল্লাহ তায়া’লা করোনা ভাইরাস থেকে বাংলাদেশকে হেফাজত করেছেন।হেফাজত মহাসচিব আরো বলেন,
কওমী মাদরাসা সরকারি কোন অনুদানে চলে না। আল্লাহর বিশেষ রহমত এবং জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতায় পরিচালিত হয় এবং জনগণের খেদমতে নিয়োজিত থাকে।