হিফজ খানায় না গিয়ে মাত্র আড়াই বছরে মায়ের মুখে শুনে শুনে পবিত্র কুরআন মু’খ’স্ত করে ফেলেছেন। আমেরিকার নিউজার্সিতে অবস্থান করেও
মুসলিম ও ইসলামিক কালচার থে’কে সটকে পড়েননি এই ছো’ট হাফেজা।বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সে বগুড়ায় তার গ্রামের বাড়ি।
এছাড়া ইউটিউবে রয়েছে তার নিজস্ব চ্যানেল। ১ মিলিয়ন এর উ’প’রে সাবস্ক্রাইবার। রয়েছে নিজের নামে ভেরিফায়েড ফেসবুক পে’ই’জ।
সারা পৃথিবী জুড়ে পিতৃ-মাতৃহীন শিশুদের নিয়ে কাজ করা আমেরিকান সংস্থা “ইসলামিক রিলিফ ইউ এস এ” এর দূ”ত তিনি।
কেননা চার্চ দরিদ্র মানুষকে খাবার দিত। এভাবে চার্চ আমার জীবনের অংশ হয়ে ওঠে। মা-বাবার অধীনে একটি শহরে বসবাস, দারিদ্র্য, একঘেয়ে কৈশোর জীবন আমার দৃষ্টি ছোট করে ফেলেছিল।
ফলে মাত্র ১৫ বছর বয়সে আমি গর্ভবতী হই এবং ১৯ বছর বয়সে দুই সন্তানের মা। মেয়েরা ছিল আমার জন্য আশীর্বাদ।
আমি মন্দ পথের পথিক ছিলাম। তাদের জন্য আমি সুপথে ফিরে এলাম এবং তাদের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করলাম।
আমি চাচ্ছিলাম, আমি যেভাবে বড় হয়েছি আমার মেয়ে তার চেয়ে ভালো জীবন লাভ করুক। ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর আমি কনজারভেটিভ রাজনীতির সঙ্গে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়ি।
দীর্ঘ সময় আমি ফক্স নিউজ দেখে এবং রেডিওর আলোচনা শুনে কাটিয়েছি। কেউ আমার সামনে ইসলামের পক্ষে কথা বললে,
আমি তার সঙ্গে এমনভাবে ঝগড়ায় লিপ্ত হতাম যেন আমি তার চেয়ে অনেক বেশি জানি।এরপর সময় খুব দ্রুত চলে গেল।
মার মেয়েরা স্নাতক সম্পন্ন করার পর আমাকে ছেড়ে চলে যায়। ১৮-১৯ বছর বয়সে তারা চাকরি খুঁজে নিল এবং পৃথক বাসায় উঠল।
অন্যদিকে বড় একটি ঘরে আমি একা হয়ে যাই, সব কাজ একা করতে থাকি এবং অনুভব করি সব কিছু আমাকে ছেড়ে যাচ্ছে।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে আমি জানতাম কঠোর পরিশ্রম, ঘরে ফেরা, রাতের খাবার গ্রহণ এবং তারপর সব শান্ত। শূন্য ঘরে আমার সময়টি ছিল ভীষণ অন্ধকার।
আমি নিজেকে একজন মা না ভেবে, নিছক একজন ব্যক্তি ভাবার চেষ্টা করলাম এবং গভীর হতাশায় ভুগতে লাগলাম। হতাশার মধ্যেই চাকরি হারালাম।
আর তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমার জীবনে পরিবর্তন প্রয়োজন। আমার মালিকানাধীন সব কিছু বিক্রি করে দিলাম এবং
ফ্লোরিডায় বসবাসকারী এক বন্ধুর উদ্দেশে ট্রেন ধরলাম। বিষয়টি আমার জন্য হিতেবিপরীত হলো। ফ্লোরিডায় যাওয়ার পর আমি পরিবার, বন্ধু ও অর্থ সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেলাম।