‘যা আছে সব বিক্রি করে টাকা পাঠাও। আমি বাঁচতে চাই। আমারে বাঁচাও। ওরা প্রতিদিন মা’রধর করে। কা’রেন্টে শক দেয়। মা আমি বাঁচতে চাই।’
বাচাঁর জন্য মোবাইল ফোনে এমনই আকুতি করেছিল মাদারীপুরের রাজৈর উপজে’লার ইশিবপুর ইউনিয়নের ২৩ বছরের যুবক সজিব বেপারী।
কিন্তু বাঁ’চতে পারেননি। সবকিছু বিক্রি করে দালালের কাছে টাকা দেয়ার পরও স’ন্ত্রাসীদের গু’লিতে প্রা’ণ হারায় সজিব।
শুধু সজিব নয় এমন ১১ জন নি’হত হয়েছে মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। আ’হত হয়েছে আরও ৪জন।
এদিকে নি’হত সজিব বেপারী স্ত্রী নুরনাহার বেগম বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। কা’ন্নাজ’ড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার স’ন্তানের বয়স ৫ মাস।
ও বাবার মুখটাও দেখেনি। সুখের আশায় দালালের প্রলোভনে পারি জমিয়েছিল লিবিয়া। সেখানে দালালরা তাকে জি’ম্মি করে।
প্রথম দফায় রেজাউল দালাল সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা নেয়। পরে জি’ম্মি করে আরো ৫ লক্ষ টাকা নেয়। এরপর মা’ফিয়ারা
তাকে গু’লি করে হ’ত্যা করে। সব টাকা দিয়েছি ধার দেনা করে। এখন কেমন করে এই দেনা পরিশোধ করবো।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের মিজদা শহরের একটি জায়গায় টাকার জন্য জি’ম্মি করে রাখে মানবপা’চারকারী চ’ক্র।
এ নিয়ে এক পর্যায়ে ওই চ’ক্রের সঙ্গে মা’রামারি হয় অভিবাসী শ্র’মিকদের। এতে এক মানবপা’চারকারী মা’রা যায়।
তারই প্র’তিশোধ হিসেবে ২৮ মে বৃহস্পতিবার রাত ৯টারদিকে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ অভিবাসী শ্র’মিককে গু’লি করে হ’ত্যা করে মানবপা’চারকারী চ’ক্রের এক সদস্যের সহযোগী ও স্বজনরা।
নি’হতরা হলেন সদর উপজে’লার জাকির হোসেন, জুয়েল হোসেন, ফিরোজ ও শামীম, রাজৈর উপজে’লার বিদ্যানন্দী গ্রামের জুয়েল হাওলাদার,
একই গ্রামের মানিক হাওলাদার (২৮), টেকেরহাট এলাকার আসাদুল, মনির হোসেন ও আয়নাল মোল্লা, ইশিবপুর এলাকার সজীব ও শাহীন।
আ’হতরা হলেন, সদরের ফিরোজ বেপারী, ইশিবপুরের সম্রাট খালাসী ও কদমবাড়ীর মো. আলী।মাদারীপুর জে’লা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম দোষীদের শা’স্তির আশ্বাস দেন।
তিনি মৃ’তদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ম’ন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান।