বরিশালে ডিবি পু’লিশের ‘নি’র্যা’তনে’ রেজাউল করিম রেজা (৩০) নামে এক ছাত্রের মৃ’ত্যু হয়েছে বলে অ’ভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতা’লে আইন মহাবিদ্যালয়ের ওই ছাত্রের মৃ’ত্যু হয়।
এর প্রতিবাদে লা’শ নিয়ে বি’ক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। এ সময় অ’ভিযু’ক্ত এসআইয়ের বাড়িতেও হা’মলা চালান তারা।
তবে অ’ভিযোগ অস্বীকার করে এ ঘটনা ত’দন্তে কমিটি গঠন করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পু’লিশ। নি’হত রেজাউল নগরীর
সেখানে তার অ’সুস্থতার কথা উল্লেখ থাকায় এবং পা থেকে র’ক্তক্ষরণ হওয়ায় কারা হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার তাকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতা’লে স্থা’নান্তর করা হয়। আর হাসপাতা’লের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ হরে কৃষ্ণ সিকদার বলেন,
র’ক্তক্ষরণজনিত কারণে পুরুষ সার্জারি-১ ইউনিটে তাকে ভর্তি করে কারা কর্তৃপক্ষ। সেখানে পরদিন রাতে তিনি মা’রা যান।
এদিকে ‘নি’র্যা’তনকারী’ পু’লিশ সদস্যদের বিচার চেয়ে রবিবার বিকেলে সাগরদী এলাকায় মহাসড়কে রেজাউলের লা’শ নিয়ে বি’ক্ষোভ করেন এলাকাবাসী।
এতে মহাসড়কে কয়েকশ’ যানবাহন আ’ট’কা পড়ে। একপর্যায়ে পু’লিশ বিচারের আশ্বা’স দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।
পরে এসআই মহিউদ্দিন মাহির বাসভবনে ভাঙচুর চালান তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অ’তিরিক্ত পু’লিশ মোতায়েন করা হয়।
রেজাউলের পিতা ইউনুছ মুন্সী দাবি করেন, তার ছে’লেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর শুক্রবার রাতে পু’লিশ ফোন করে জানায় রেজাউল বাথরুমে পড়ে গিয়ে আ’হত হয়েছেন।
তাকে হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার সঙ্গে পরিবারের কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। ছে’লেকে নি’র্যা’তন করা হয়েছে দাবি করে এর সুষ্ঠু ত’দন্ত ও বিচার চান তিনি।
এ বিষয়ে অ’ভিযু’ক্ত এসআই মহিউদ্দিন মাহি গণমাধ্যমকে বলেছেন, গাঁজা ও নে’শাজাতীয় ইনজেকশনসহ রেজাউলকে গ্রে’প্তার করা হয়।
পরদিন সুস্থ অবস্থায় তাকে আ’দালতে পাঠানো হয়েছে। তার বি’রুদ্ধে আগেও মা’দক মা’মলা ছিল বলে জানান তিনি।
এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পু’লিশের পক্ষ থেকে ই-মেইল বার্তায় ওই ছাত্রে মৃ’ত্যুর ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, নি’হত রেজাউল পূর্ব থেকেই এলাকায় মা’দকবিক্রেতা ও মা’দকসেবী হিসেবে চিহ্নিত ছিল এবং তার বি’রুদ্ধে একাধিক মা’মলা হয়েছিল।