প্রত্যেক বিবা’হিত না’রী স’ন্তানের মুখ দেখতে চায়। কারও গ’র্ভে স’ন্তান আসে না আবার কারও গ’র্ভে স’ন্তান এলেও তা ন’ষ্ট হয়ে যায়।
বার বার এভাবে স’ন্তান ন’ষ্ট হলে মায়ের মনে হতাশা নেমে আসে। গ’র্ভাবস্থার প্রথম তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই বেশিরভাগ স’ন্তান ন’ষ্ট হয়।
কেন ন’ষ্ট ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে জেনেটিক বা জ’ন্মগত ত্রুটির কারণে গ’র্ভে স’ন্তান ন’ষ্ট হয়ে থাকে। অন্যান্য কারণের মধ্যে জরায়ুর
গঠনগত ত্রুটি, একাধিকবার এমআর-ডিএন্ডসি করার কারণে জরায়ুমুখের সিথিলতা, জরায়ুতে টিউমার, গ’র্ভাবস্থায় ইনফেকশন,
স্বা’মী-স্ত্রীর একই র’ক্তের গ্রুপ কখনোই বাচ্চা ন’ষ্ট হওয়ার কারণ, বন্ধ্যত্ব বা গ’র্ভাবস্থায় জটিলতার জন্য দায়ী নয়। কি কি পরীক্ষা দরকার
: প্রজননতন্ত্রের আল্ট্রাসনোগ্রাফি, হিসটেরোসকপি করে জরায়ু ও জরায়ুমুখের গঠনগত ত্রুটি জানা যায়।
বিভিন্ন প্রকার র’ক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মায়ের শ’রীরে স’ন্তান ন’ষ্ট হওয়ার কারণগুলো চিহ্নিত করা যায়। স্বা’মী-স্ত্রীর ডিএনএজনিত কোনো ত্রুটি আছে কিনা তাও নির্ণয় করা যায়।
প্রতিকার : কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিলে বেশিরভাগ মা স’ন্তান লাভে সফল হতে পারেন। মনে রাখবেন, স’ন্তান নেওয়ার
আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।ডা. রেজাউল করিম কাজল সহযোগী অধ্যাপক, প্রসূতি ও স্ত্রীরো’গ বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।
ছেলে স’ন্তান এবং মে’য়ে স’ন্তান নেয়ার জন্য যা করেতে হবে,বিয়ের পর নব দম্পতিরা তাদের অনাগত স’ন্তান নিয়ে কিছু
না কিছু পরিকল্পনা করে থাকে। কিন্তু গ’র্ভের স’ন্তানটি ছেলে না মে’য়ে হবে, তা কি আমরা নিয়’ন্ত্রণ করতে পারি?
অনেকেরই শখ থাকে তার পরবর্তী স’ন্তানটি হবে দুরন্ত একটি ছেলে অথবা ফুটফুটে একটি মে’য়ে । একেবারে নিশ্চিত হবার কোনো উপায় না
থাকলেও, ছোট্ট একটি প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। মূ’লত শা’রীরিক মি’লনের সময়ের ও’পরে নির্ভর করে এই পদ্ধতি।
তা কি করে কাজ করে জানতে হলে আপনাকে প্রথমেই দুইটি বি’ষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। একটি হলো ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে, আরেকটি হলো স্পার্ম বা শুক্রাণু কিভাবে একে প্রভাবিত করে।
প্রথমে দেখা যাক ওভিউলেশনের প্রক্রিয়াটি কিভাবে কাজ করে। না’রীর শ’রীরে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন ওভিউলেশন হয়।
ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গ’র্ভধারণের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত সময়।
কারণ ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু শুক্রাণু না’রীর শ’রীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে।