গাজীপুর জে’লার শ্রীপুরে তাবিজ দেয়ার কথা বলে এক ভণ্ড কবিরাজে বি’রুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে । পরে এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রে’ফতার করে র্যা’ব।
গত বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে শ্রীপুর উপজে’লার বাগমা’রা গ্রামে অ’ভিযান চা’লিয়ে মো. শফিকুল ইসলাম (৩২) নামের ওই কবিরাজকে গ্রে’ফতার করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ত’থ্য জানিয়েছেন র্যা’ব-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন ।ভণ্ড কবিরাজ শফিকুল ইসলাম উপজে’লার বাগমা’রা গ্রামের মৃ’ত জহিরুল হকের ছেলে।
আরো পড়ুন: কুমিল্লায় স্কুলের বা’থরুমের সামনে তরুণীকে ধর্ষণ, দেখে ফেললো রাজমিস্ত্রী
দিয়ে সংসারে শান্তি ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলেন শফিকুল। তাবিজ আনার জন্য গৃহবধূকে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তার দোকানে যেতে বলেন।
কথামতো ওই দিন দোকানে গেলে তাকে ফুসলিয়ে দোকানের পেছনের ঘরে নিয়ে যান শফিকুল। পরে হ’ত্যার ভ’য় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
ওই গৃহবধূ বা’দী হয়ে শ্রীপুর থানায় মা’মলা করেন ভণ্ড কবিরাজ শফিকুল ইসলাম নামে । সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ধ**র্ষকের বি’রুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
ফোনে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ, বাবা গ্রেফতার
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় নিজের আট বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. ফারুক ব্যাপারী ভোলা (৫৫) নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক করে ঢাকায় শিশুটির
মায়ের সঙ্গে ফারুক ব্যাপারীর বিয়ে হয়। বিয়ের চার বছর পর তারা শরীয়তপুরে চলে যান। বিবাহিত জীবনে তাদের ১১ বছরের এক ছেলে ও আট বছরের এক মেয়ে আছে।
অভাবের সংসারের হাল ধরতে শিশুর মা ২০১৮ সালে সৌদি আরব যান। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবে আছেন। সেই সুবাদে মো. ফারুক ব্যাপারী ছেলে ও
মেয়েদের নিয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলার নীলকান্দি এলাকার হারুন তালুকদারের ভাড়া বাসায় থাকেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে
মেয়েকে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এর আগেও তাকে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছ।
ঘটনা কাউকে না বলার জন্য মেয়েকে হুমকি দেন বাবা ফারুক ব্যাপারী। ১৫ ফেব্রুয়ারি শিশুটি তার খালাকে ঘটনা খুলে বলে।
পরে ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই শিশুকে নিয়ে খালা পালং মডেল থানায় এসে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
ভিকটিমের খালা বলেন, ‘মেয়েটি ওর বাবার ভয়ে চুপ ছিল। আমার বাড়িতে আসলে বিষয়টি খুলে বলে। তাই মামলা করেছি। ফারুক তার সঙ্গে পৈশাচিক কাজ করেছে। তার ফাঁসি হওয়া উচিত।’
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ভিকটিমের খালার অভিযোগ এবং সার্বিক বিষয় যাচাই-বাছাই করে মামলা নিয়েছি।
বুধবার রাতে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ফারুক নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আর ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর ১৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’