অ’সহায় রো’গীদের নিজের টাকায় সেবার ব্যবস্থা করে প্রশংসিত হয়েছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পু’লিশের (সিএমপি) কনস্টেবল শওকত। দীর্ঘদিন নীরবে কাজ
করলেও ২০১৯ সালে ২৯ নভেম্বর নগর পু’লিশের মাসিক কল্যাণ সভায় তার বি’ষয়টি তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মাহবুবর
রহমানের সুনজরে আসে। স’ঙ্গে স’ঙ্গে তিনি শওকতের নেতৃত্বে একটি ‘মানবিক পু’লিশ ইউনিট’ চালু করেন।
তবে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নগরের দেওয়ানহাট এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলে দেয়া ‘বি’তর্কি’ত’ ব’ক্তব্যের জেরে তাকে ‘মানবিক পু’লিশ ইউনিট’
তাদের আ’পত্তির মুখে শওকতকে বদলি করা হলেও নগর পু’লিশ কর্মকর্তারা বলছেন ‘নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে’ তাকে অন্য দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে।
গৃহকর্মীকে খু’ন্তির ছ্যাকা ও দেয়ালে মাথা ঠুকে নি’র্যাতন করলো ডাক্তারপত্নী
বরিশালের ডাঃ সি.এইচ রবিনের স্ত্রী রাখির অমানুসিক নি’র্যাতনে বাসার শি’শু গৃহকর্মী হাসপাতালে মৃ’ত্যুশয্যায়।
উজিরপুর থানা পু’লিশ উ’দ্ধার করে স্বা’স্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। নি’র্যাতিত শি’শু ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, উজিরপুর উপজে’লার
ওটরা ইউনিয়নের গজালিয়া গ্রামে ডাঃ সি.এইচ রবিনের বাড়ি। তিনি ঢাকা প’ঙ্গু হাসপাতালের রেজিস্টার এবং বাসা শ্যামলীতে।
অভাবের তাড়নায় গত ৬ মাস পূর্বে স্থানীয় বাসুদেবের মাধ্যমে হারতা ইউনিয়নের জামবাড়ি গ্রামের ননী বাড়ৈর মে’য়ে নিপা বাড়ৈ (১১) ডাক্তার
সি.এইচ রবিনের বাসায় গৃহকর্মীর কাজে যায়। নিপার পিতা প্রতিব’ন্ধী, মা ছোট বেলায় সংসার ছেড়ে পা’লিয়ে যায়। অর্ধাহারে-অনাহারের সংসার।
গৃহকর্মী নিপা বাড়ৈ জানায়, কাজের শুরু থেকেই সামান্য ভু’লত্রুটি হলেই ডাক্তার সাহেবের স্ত্রী রাখী তার শ’রীরে কখনো খু’নতি দিয়ে আ’ঘাত,
কখনো বা ধা’রালো চাকু দিয়ে কোপ মারত। এমনকি চি’ৎকার দিলে গ’লা চে’পে ধরে দেওয়ালের সাথে মাথায় আ’ঘাত করত।
এতে তার শ’রীরের দুই হাত, হাতের অ’ঙ্গুল, মাথা, গ’লায়, মুখমন্ডল ও পিঠসহ বিভিন্ন স্থানে অগনিত ক্ষ’তের চিহ্ন রয়েছে।
বাড়ি থেকে মাঝে মধ্যে বৃ’দ্ধ দাদু ও কাকারা ফোন দিলে ডাক্তারের স্ত্রী রাখী মা’রধরের কথা না বলার জন্য ভ’য়ভীতি দেখাত।
গত ২১ ফেব্রুয়ারী গৃহকর্মী নিপা বাড়ৈর উপর ডাক্তারের স্ত্রী অমা’নসিক নি’র্যাতন চা’লায়। মাথায় চাকু দিয়ে কোপ মারে।
এতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। কিছুটা সুস্থ্য হওয়ার পরে ভ’য়ভীতি দেখিয়ে কাউকে কিছু না বলার হু’মকি দিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারী ডাক্তারের কম্পাউন্ডার বাসুদেবের মাধ্যমে তার
গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। গ্রামের বাড়িতে হতদরিদ্র পৌছলেই বাড়ির দাদু, কাকিমা, কাকারা মিলে তার শা’রীরিক অবস্থা দেখে জি’জ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শি’শু গৃহকর্মী কেঁদে ফে’লে সবকিছু খুলে বলে।
পরে স্থানীয়রা উজিরপুর থানা পু’লিশকে বি’ষয়টি অবহিত করলে মডেল থানার এস,আই মাহাতাব তাকে উ’দ্ধার করে উজিরপুর স্বা’স্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।