অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিচারিক আ’দালতের দেয়া ১৩ বছরের সাজার বি’রুদ্ধে সং’সদ সদস্য হাজী মোহাম্ম’দ সেলিমের করা আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে আজ (মঙ্গলবার)। ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিলের ও’পর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা করা হবে।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বি’রুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে লালবাগ থানায় মা’মলা করে দু’র্নীতি দ’মন কমিশন (দুদক)। মা’মলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কা’রাদ’ণ্ড দেন বিচারিক আ’দালত। কা’রাদ’ণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।
২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বি’রুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট তার সাজা বাতিল করেন। হাইকোর্টের রায়ের বি’রুদ্ধে আপিল করে দুদক।
শারমিন আক্তার রাইসার জ’ন্ম ১৬ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জে’লায়। বাবা মো. আনিসুর রহমান, মা সেলিনা রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবে’ষণা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
৩৬তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার হিসেবে সুপারিশপ্রা’প্ত হয়ে গৌরীপুর মুন্সি ফজলুর রহমান স’রকারি কলেজে যোগদান করেন। সম্প্রতি জাগো নিউজকে তার স্বপ্ন ও সফলতার গল্প শুনিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাহিদ হাসান—
আপনার ছোটবেলা কেমন কে’টেছে?
শারমিন আক্তার রাইসা: ঢাকায় বাবার নিজস্ব ব্যবসা ছিল। ফলে ঢাকায়ই বড় হয়েছি। আমার খালু সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁর উত্তরসূরি ছিলেন। তাই আমার ছোটবেলা কে’টেছে সাংস্কৃতিক আবহে।
ছোটবেলা থেকেই সংগীতচর্চা, খেলাধুলা, ছবি আঁকা খুব পছন্দ করতাম। দাদা বাংলাদেশ বেতারে চাকরি করতেন। সে সুবাদে ছোটবেলায় আমি এবং আমার ছোট বোন বেতারে ছোটদের অনুষ্ঠানে প্রায়ই গান গাইতাম।
আমার বাবা পড়ালেখা করার তেমন সুযোগ পাননি। তাই আমাদের পড়াশোনা করানোর প্রতি তার আ’গ্রহ ছিল অনেক। তিনি স্বপ্ন দেখতেন আমরা পড়ালেখা করে একদিন অনেক বড় হবো।
পড়াশোনায় কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল কি? স্বপ্নের মঞ্চে পৌঁছতে আপনার বিশেষ দিকগুলো—
শারমিন আক্তার রাইসা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগে ৩য় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত অবস্থায় আমার বাবা হঠাৎ স্ট্রোক করে মা’রা যান। বাবাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন।
ফলে তার মৃ’ত্যুর পর মায়ের জন্য পাঁচ ভাই-বোনের পড়ালেখার ব্যয়সহ পুরো সংসারের হাল ধরা অনেক ক’ষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমি পরিবারের বড় স’ন্তান হওয়ায় আমাকেও এ পর্যন্ত আসতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে।
নিজের এবং পড়ালেখার খরচ চা’লানোর জন্য টিউশন করেছি। তবুও বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পড়ালেখা থেকে নিজেকে কখনো সরিয়ে রাখিনি। অনার্সে সিজিপিএ ৩.৫৯ পেয়ে ক্লাসে ৩য় স্থান এবং মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৭৫ পেয়ে ২য় স্থান অর্জন করি। ক্লাসে মে’য়েদের মধ্যে প্রথম হওয়ার সুবাদে ডিপার্টমেন্ট থেকে বৃত্তি পেয়েছিলাম, যা আমার জন্য ছিল অনেক বড় একটি অনুপ্রেরণা।