গল্প, কবিতা বা সাহিত্যে একজন পুরু’ষের দৃষ্টিতে না’রীর সৌন্দর্যের বর্ণনা নানাভাবে উঠে এসেছে। কিন্তু এর উল্টোটা অর্থাৎ না’রীর চোখে পুরু’ষের কোন বি’ষয়গুলো আকর্ষণীয় সেই ব্যাখ্যা এসেছে খুবই কম।
তার মানে এই নয় যে, পুরু’ষকে বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে না’রীদের কোন পছন্দ-অপছন্দ নেই।সেটা অবশ্যই একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম।যেমন পেশায় চিকিৎসক ডা. শামসুন্নাহার বীথির কাছে পুরু’ষের সৌন্দর্য মানেই তার পরিচ্ছন্নতা, সেটা হোক শ’রীরের বা মনের।
“আমি যখন মেডিকেলে পড়তাম তখন আমাকে এক বড় ভাই খুব পছন্দ করতেন। তিনি দেখতেও বেশ সুন্দর ছিলেন।কিন্তু আমি তাকে নিয়ে কখনও কিছু ওভাবে ভাবতে পারিনি। কারণ তিনি কখনও সুগন্ধি ব্যবহার করতেন না, যা ছিল তার খুব প্রয়োজন।”
“আমার কাছে শ’রীর ও মন দুটোর পরিচ্ছন্নতাই এক ধরণের সুন্দর্য। সেটা ছেলে মেয়ে সবার ক্ষেত্রে।আর আমার একটা অদ্ভূত পছন্দ আছে আর সেটা হল আমি কাঁচা পাকা চুলের ছেলে পছন্দ করি। টাক পড়া নিয়েও আমার সমস্যা নেই। তবে সেটা চকচকে হতে হবে।”
এক্ষেত্রে মিডিয়ার বড় ধরণের ভূমিকা আছে বলে তিনি মনে করেন।ব্যক্তিগতভাবে তিনি সৃজনশীল, আত্মবিশ্বাসী সেইস’ঙ্গে শা’রীরিক ফি’টনেস এবং বাচনভ’ঙ্গির ব্যাপারে সচেতন পুরু’ষদের পছন্দ করেন।
“একটি ছেলে লম্বা, খাটো, কালো বা ফর্সা হতে পারে কিন্তু সে তার শ’রীরের ফি’টনেস নিয়ে যদি যত্নশীল হয় এবং ফ্যাশনেবলভাবে উপস্থাপন করে,আমি তাদের প্রতি আকৃ’ষ্ট হই।
তাছাড়া ছেলেটা কতোটা স্মার্ট, অন্যকে কতোটা সম্মান দিয়ে কথা বলে। সে কতোটা প্রা’ণবন্ত। সেগুলোও আমার কাছে ম্যাটার করে।কিছুটা ভিন্নভাবে ভাবছেন বেস’রকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ফারজানা ইয়াসমিন। তার পছন্দ ভারী কণ্ঠের পুরু’ষ।
গায়ের রং তেমন গুরুত্ব না পেলেও লম্বা গড়ন সেইস’ঙ্গে ক্যারিয়ারে সুপ্রতিষ্ঠিত পুরু’ষের প্রতি তিনি তার দু’র্বলতার কথা জানান।তবে তিনি এটাও মনে করেন সবকিছুর ও’পরে পুরু’ষের সুন্দর মা’নসিকতাই মুখ্য।